সম্পর্ক শুরু হয় দু’জনের ইচ্ছায়, কিন্তু সম্পর্ক ভেঙে যায় এক জনের সিদ্ধান্তে। তাই এই লক্ষণগুলি দেখে আলোচনা করুন সঙ্গীর সঙ্গে। তার পরে একত্রে সিদ্ধান্ত নিন।
প্রেমে পড়ার মুহূর্ত যতটাই মধুর, ঠিক ততটাই কঠিন একটা সম্পর্ক সৎ ভাবে টিকিয়ে রাখা। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে শুধু প্রেম নয়, দরকার দায়িত্ববোধ, বিশ্বাস ও পরস্পরের প্রতি সম্মান। কিছু সম্পর্কে কয়েক মাস কাটতে না কাটতে বোঝা যায়, তার দৌড় কতদূর। আবার কিছু সম্পর্কে বিয়ের প্রায় বেশ কয়েক বছর বাদে ইতি টানতে হয়।
সম্পর্কে তখনই সমস্যা দেখা দিতে থাকে, যখন এক জন ভেবে নেন যে তার সঙ্গী ঠিক তার মতো করেই ভাবছেন। আর উল্টোটা হলেই তখন তৈরি হতে থাকে অভিমানের পাহাড়। কিন্তু দিনের পরে দিন এরকম চলতে থাকলে, কয়েকদিন বাদে দেখা যায় যে, সম্পর্কের দাড়িপাল্লায় প্রেমের থেকে পাল্লা ভারী অহং বোধ এবং ঘৃণার।
তাই কোনো সম্পর্ক ঘৃণা নিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার থেকে পরস্পরের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা নিয়ে সম্পর্কে দাড়ি টানুন। হতেই পারে যে, পরে এই শ্রদ্ধাই আবার আপনাদের দু’জনকে জুড়ে দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলি দেখলেই বোঝা যাবে যে সম্পর্ক শেষ করার সময় এসেছে- যাই হোক না কেন সম্পর্কে মারধর বা গালিগালাজ কখনই কাম্য নয়। তাই এই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকলে মনের উপরে পাথর চাপিয়েই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।
যখন দেখবেন আপনার সঙ্গীর মধ্যে থেকে দায়িত্ববোধ সম্পূর্ণভাবে চলে গেছে এবং আপনার কোনো বিষয়েই তিনি চিন্তিত নন, তা হলে বুঝবেন এই সম্পর্ক ভবিষ্যতে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
কোনো ঝগড়া নেই, অথচ কোনো কথাও নেই আপনাদের মধ্যে। রেস্তোরাঁতে গেলে মুখোমুখি বসেও যে যার মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন। তেমন হলে আলোচনা করেই আলাদা হয়ে যান।
সম্পর্কে বিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিশ্বাস যদি একবার ভেঙে যায়, সেই সম্পর্কে থাকার আর মানে নেই। যে একবার প্রতারণা করতে পারে সে যে আবার করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ ছাড়া আপনি একবার প্রতারিত হলে, আবারও প্রতারিত হতে পারেন এই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন। তাই এই রকম সম্পর্কে না থাকাই ভাল।
No comments:
Post a Comment