অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলে কম সমালোচনার শিকার হননি বলিউডের মি. পারফেকশনিস্ট আমির খান। তার সহ অভিনেতারাও তাকে ছেড়ে কথা বলেননি। তাকে দেশত্যাগের কথাও বলেছেন অনেকেই।
বিজেপির এক নেতা তো আমিরকে উচিত শিক্ষা দেয়ার কথাও বলেছেন। তার পরবর্তী সিনেমা মুক্তির সময়ই নাকি এ শিক্ষা দেবেন আমিরকে।
বেশকিছুদিন আমিরের ওই বক্তব্য নিয়ে কোনো কথা না হলেও আবারও তারই এক সহকর্মীর দ্বারা সমালোচনার শিকার হলেন আমির। খিলাড়ি খ্যাত নায়ক অক্ষয় কুমার সমালোচনা করেছেন আমির খানের। আমিরকে সরাসরি আক্রমণ করেন অক্ষয়।
একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে সহ-অভিনেতাকে উদ্দেশ করে অক্ষয় বলেন, প্রতিটি দেশেই বিভিন্ন সময়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। তাই বলে আপনি এ ধরনের চরম মন্তব্য করতে পারেন না।
বিজেপি’র ‘ঘনিষ্ঠ’ অক্ষয়ের মতে, দেশে অনেক ভালো কিছুও ঘটছে। কিন্তু তা নিয়ে কেউ মন্তব্য করেন না। তার কথায়, খারাপ জিনিস খুঁচিয়ে বার করা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক। অবশ্য সকলেরই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।
তবে বিনয়ী আমির বললেন ভিন্ন কথা। তিনি আবারও বলেছেন, আমি কখনও ভারতকে অসহিষ্ণু দেশ বলিনি। সংবাদমাধ্যম আমার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করেছে।
আমিরের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম গত বছরের নভেম্বরে জানিয়েছিল, দেশে অসহিষ্ণুতার আবহে আমিরের স্ত্রী কিরণ আতংকিত। এমনকী, তিনি (কিরণ) জানতে চেয়েছিলেন, তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত কি না! তার জেরে প্রবল সমালোচিত হয়েছিলেন আমির। আমজনতার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী নায়কের বক্তব্য, কিরণের সঙ্গে একান্ত ব্যক্তিগত কথাবার্তা এভাবে প্রকাশ্যে জানানো উচিত হয়নি!
মুম্বাইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে আমির বলেন, আমি কখনও বলিনি যে ভারত অসহিষ্ণু বা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাই। আমি জানি, আমার মন্তব্যে অনেকেই আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছিল এবং তার জন্য দায়ী কয়েকটি সংবাদসংস্থা। আমি এ দেশে জন্মেছি, এ দেশেই মরতে চাই।
আমিরের দাবি, তার অভিনীত ছবিগুলি দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবেন যে, তিনি বরাবর দেশ গঠনে সাহায্য করতে চেয়েছেন। নায়কের কথায়, ভারত বহু ভাষাভাষী এবং সংস্কৃতির দেশ।... অন্য কোনও দেশে এত বৈচিত্র নেই। দু’সপ্তাহের বেশি দেশ ছেড়ে থাকতে পারি না।
আমিরের আফশোস, এর পরেও লোকে তাকে ভুল বুঝেছেন। সূত্র: এবেলা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment