সাধারণ জীবনের কতকিছুই তো কেটে যায় তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে। কী রঙের কাপড় পরব, জুতার রং এর সঙ্গে মিলবে কি না। বন্ধুদের সঙ্গে এ বিষয়ে মাঝেমধ্যেই মুখর হয়ে উঠি আমরা। এর বাইরেও কত আয়োজন আছে। স্রেফ ওয়ারড্রোব সেন্স ভালো করা বা তৈরির জন্য বিভিন্ন ফ্যাশন উইক হয়। প্যারিস, লন্ডন, নিউইয়র্ক, বার্লিন, মস্কো, রিও ডি জেনিরো কত শহরেই তো কেতাদুরস্ত হতে শেখানো হয়।
তবে একেবারে উল্টোপথে পথে হাঁটলেন মার্ক জাকারবার্গ। হ্যাঁ, সেই ফেসবুক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবং যখন থেকে তিনি বিশ্বের কনিষ্ঠ ধনকুবের, একটি বিষয় কখনো পরিবর্তন করেননি। আর সেটা হলো তাঁর ধূসর রঙের টি-শার্ট, যেটা তিনি প্রতিদিনই পরেন।
সম্প্রতি ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকারবার্গ তাঁর ওয়ারড্রোব ও দুই ধরনের টি-শার্টের ছবি প্রকাশ করেছেন। পিতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে ফেরার পর নিজের পোশাক-আশাকের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেন তিনি।
ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মার্কের অমায়িক পোশাক নিষ্প্রভ মনে হতে পারে। তবে প্রতিদিন একই পোশাক পরার পক্ষে তাঁর একটি ন্যায়সঙ্গত যুক্তি রয়েছে। তাঁর জবাব, প্রতিদিন একই পোশাক পরার ফলে কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর শক্তি (এনার্জি) কাজে লাগাতে পারেন, মনোযোগ দিতে পারেন।
৩১ বছর বয়সী জাকারবার্গ ২০১৪ সালে জনসম্মুখে একটি অনুষ্ঠানে শ্রোতার প্রশ্নের মুখে প্রথমবার এর জবাব দেন। একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কেন তাঁর পোশাক বদল হয় না। প্রতি-উত্তরে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি সত্যিই আমার জীবনকে পরিচ্ছন্ন করতে চাই, আমার এই কমিউনিটি (ফেসবুক) ছাড়া অন্য যে কোনো বিষয়েই আমি যাতে যতটা সম্ভব কম সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমি আসলেই খুব ভালো অবস্থানে আছি, আমি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে শতাধিক কোটি মানুষের সেবা দিতে সহায়তা করি।’
জাকারবার্গের আনুমানিক সম্পদমূল্য তিন হাজার ৭৫০ কোটি (৩৭.৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে থাকার সময় কিশোর বয়সে ফেসবুক চালু করেন তিনি। ধারণা করা হয়, পোশাক নিয়ে অবস্থান তৈরি হয় সেই সময়ই।
Tuesday, January 26, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment