Social Icons

Wednesday, January 27, 2016

বিলবাওকে হারিয়ে কোপা দেল রের সেমিতে বার্সা

নেইমার ও সুয়ারেজের পাশাপাশি জেরার্ড পিকের গোলে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। বুধবার রাতে কোপা দেল রের শেষ আটের দ্বিতীয় লেগের এই জয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল লুইস এনরিকের দল।
 
দুই লেগ মিলিয়ে বার্সেলোনার জয় ৫-২ ব্যবধানে, প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা। হ্যামস্ট্রিং পেশির চোটের কারণে গত শনিবার লা লিগায় মালাগার বিপক্ষে খেলেননি নেইমার। এই ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে উঠলেও তারকা ফরোয়ার্ডকে নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি না নেওয়ার কথা বলেছিলেন লুইস এনরিকে। তবে প্রথম একাদশেই সদ্য সেরে ওঠা ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নামিয়ে দেওয়ায় এনরিকের সতর্ক অবস্থানেরই প্রমাণ মেলে, যা মোটেও অযৌক্তিক ছিল না। পুরো ক্যাম্প ন্যুকে থমকে দিয়ে একাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বিলবাও। মাঝ মাঠের কাছ থেকে বল ধরে স্পেনের ফরোয়ার্ড আরিৎজ আদুরিস লম্বা করে বল বাড়িয়েছিলেন স্বদেশী ইনাকি উইলিয়ামসের উদ্দেশে। তাকে রুখতে সামনে এগিয়ে আসেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। কিন্তু দারুণভাবে তাকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে আসরে তৃতীয় গোলটি করেন উইলিয়ামস।
 
 
এগিয়ে গিয়ে বার্সেলোনার রক্ষণে আরও চাপ বাড়ায় বিলবাও। ১০ মিনিটের মধ্যে তিনটি দারুণ আক্রমণ করে তারা। সপ্তদশ মিনিটে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো অতিথিরা, উইলিয়ামসের কোনাকুনি শট একটুর জন্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। ২১তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন আদুরিস। দ্রুতই অবশ্য নিজেদের গুছিয়ে নেয় বার্সেলোনা। প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে দলটি, বেশ কবার প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢুকে পড়েন নেইমার। কিন্তু সাফল্য না মেলায় পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। ৫১তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ইভান রাকিতিচ, কিন্তু বল আকাশে উড়িয়ে মারেন।
 
 
পরের মিনিটেই সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি বক্সের মধ্যে বাঁদিক থেকে লিওনেল মেসির আড়াআড়ি পাসে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন লু্ইস সুয়ারেজ। স্প্যানিশ কাপের এবারের আসরে এটা তার প্রথম এবং চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৩০ ম্যাচে ৩০তম গোল। এরপরেও অধিকাংশ সময় একচেটিয়া আক্রমণ করে যেতে থাকে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজের গড়া আক্রমণত্রয়ী। কিন্তু নিশ্চিত কোনো সুযোগই মিলছিল না।
 
৭৯তম মিনিটে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শট করেছিলেন ব্রাজিল অধিনায়ক কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটে জেরার্ড পিকের হেড আবারও কর্নারের মাধ্যমে ফেরান স্প্যানিশ গোলরক্ষক ইয়াগো। কিন্তু পরেরবার আর পারলেন না; ফিরতি কর্নারে দুই সতীর্থের পা ঘুরে পাওয়া বল ডান দিক থেকে উঁচু করে বাড়ান দানি আলভেস, তা থেকেই হেডে দলকে এগিয়ে দেন পিকে।
 
জেরার্ড পিকের এই গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনার সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায়। যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ান নেইমার; এক জনের বাধা এড়িয়ে ডি বক্সে ঢুকে সামনে থাকা আরও দুজনের মধ্যে দিয়ে জোরালো শটে বল জালে জড়ান আগামী মাসে ২৪-এ পা দিয়ে যাওয়া এই তারকা। প্রতিযোগিতার দিনের অন্য ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে সেল্টা ভিগো। সেল্টার মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। গোল.কম।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates