প্রতিবেশীর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফাতেমা আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূকে দাহ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পরিবারের লোকজন গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. রেজাউল ইসলাম জানান, ফাতেমার শরীরের ৬০ ভাগ আগুনে ঝলছে গেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি।
হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার জানান, একই গ্রামের সোহরাব (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে বাথরুমে যাবার সময় সোহরাব ওঁৎ পেতে থেকে তার শরীরে কেরোসিন অথবা পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আর্তচিৎকারে স্বামী বাচ্চু মিয়াসহ পরিবারের লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুল হক ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন তালুকদার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ফাতেমার চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন তালুকদার জানান, একই গ্রামের হাজি দুদু মিয়ার বখাটে ছেলে সোহরাব মিয়া ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ফাতেমার স্বামী বাচ্চু মিয়া। তিনি স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টায় জড়িত সোহরাবের শাস্তি দাবি করেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment