Social Icons

Sunday, July 17, 2016

কাতার যাবেনঃ একটু খোঁজ নিয়ে যান

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন ও কাতারে উল্লেখযোগ্য হারে বাংলাদেশি দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। এ জন্য অনেকাংশে দায়ী সরকারের আন্তরিকতা ও কূটনৈতিক তৎপরতা। তবে বন্ধ দেশগুলোয় শ্রমিক নিয়োগ আবারও শুরু করতে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও বাংলাদেশিদের শ্রমবাজার চাহিদা অনুযায়ী উন্মুক্ত হচ্ছে না। কাতারে বাংলাদেশি লাখ লাখ দক্ষ ও অদক্ষ
শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। তবে শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভিসা ব্যবসায়ীদের দৌরাÍ্যরে কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে কাতারে বাংলাদেশি শ্রমবাজারে অনেকটা মন্দা ভাব চলে এসেছে। সরজমিন দেখা যায়, কিছু অসাধু ভিসা ব্যবসায়ীর কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাতারে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছেÑ কিছু সুবিধালোভী প্রবাসী বাংলাদেশি কাতারের রাজধানী দোহায় শুধু ভিসার ব্যবসা করার জন্য অফিস খুলে বসে আছে, নিজে একজন বাংলাদেশি হয়েও প্রবাসে বাংলাদেশিদের সঙ্গেই নানা প্রতারণায় লিপ্ত রয়েছে। এসব ভিসা ব্যবসায়ীর কারণে একজন বাংলাদেশি শ্রমিককে কাতারে যেতে খরচ করতে হচ্ছে ২৫ হাজার রিয়েল যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ লাখেরও বেশি।
৫ লাখ টাকায় বাংলাদেশিদের যে ভিসা দিচ্ছে তাকে তারা ফ্রি ভিসা বলে বিক্রি করছে। কিন্তু কাতারে ফ্রি ভিসা বলে কোনো ভিসা ইস্যু হয় না। কাতারে এই ভিসা বেকার ভিসা হিসেবে প্রচলিত। কারণ এ ধরনের ভিসা দিয়ে যারা আসে তাদের সবাইকে কাজ খুঁজে নিতে হয়, কাজ পাওয়ার আগ পর্যন্ত নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে থাকা-খাওয়া চালিয়ে যেতে হয়।
ফ্রি ভিসা কাকে বলে : কিছু অসাধু বাংলাদেশি স্বল্প আয়ের আরবীয়দের মাধ্যমে অস্থায়ী অফিস দেখিয়ে একটা কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে। এ লাইসেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে বাংলাদেশি ভিসা ইস্যু করে সেই ভিসাকে ফ্রি ভিসা বলে বিক্রি করে। একটা ভিসা ইস্যু করতে বাংলাদেশি টাকায় সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়, কিন্তু সেটা বিক্রি করে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায়। কাতারে এমনও বাংলাদেশি রয়েছে যারা কাতারে ৫-৬ বছর অতিক্রম করলেও এখনও তার কফিল (স্পন্সর) কে চোখে দেখেনি বা সে যে কোম্পানির ভিসা নিয়ে এসেছে সেই কোম্পানির অফিসও চোখে দেখার ভাগ্য হয়নি। কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির ওয়েবসাইটে বড় করে বাংলায় লিখা আছেÑ ‘কাতারে ফ্রি ভিসা বলে কোনো ভিসা ইস্যু হয় না’। তার পরও মানুষ সতর্ক হচ্ছে না। কা
তারের বাংলাদেশি বাদে অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে নেপাল কিংবা ভারতীয়রা কাতারে চাকরি নিয়ে যেতে ভিসা বাবদ তাদের খরচ হয় সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ হাজার রিয়াল যা বাংলাদেশি ৫০-৬০ হাজার টাকা। আর ভিসা ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় বাংলাদেশিদের জন্য তা ৩ থেকে ৫ লাখ টাকায় গিয়ে পৌঁছে।
বাংলাদেশ সরকার এবং কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা এসব অসাধু ভিসা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় এদের দৌরাত্ব বাড়ছে দিনের পর দিন।
অপরদিকে ভিসা ব্যবসায়ীদের প্রতারণার কারণে কাতারের নিয়োগকর্তারাও বাংলাদেশি শ্রমশক্তির ব্যাপারে আগ্রহ হারাচ্ছে। চলমান এ অবস্থায় কাতারে বাংলাদেশি শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে পড়তে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি বলে কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি ভুক্তভোগীরা অভিমত প্রকাশ করেছেন।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates