যৌবন একটা গোল্ড লিফ সিগারেট। আমার যৌবন আর বেশি দিন নেই। কয়েক বছর পর আমি মধ্যবয়স্ক হয়ে যাব। তাই যতোদিন পারি, এই ক্ষণস্থায়ী যৌবনকে উপভোগ করতে চাই।’ কথাগুলো যুক্তরাজ্যে গিয়ে বলেছেন ৮২ বছরের সাবেক স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তার এসব কথায় বোঝা যায়, তিনি কতোটা ‘রোমান্টিক’ ও ‘প্রেমিক পুরুষ’!
ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ রাজনীতি নিয়ে সকালে বলেন এক কথা, বিকেলে আরেক কথা আর রাতে বলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। সকালে সরকারের সমালোচনা করেন, বিকেলে বিরোধী দলকে নানা উপদেশ দেন। রাতে হেফাজতে ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার খোয়াব দেখেন। তেমনি ক্ষমতায় থাকাকালে তার সকালে, বিকেল, রাতে পাল্টে যেত কথিত প্রেমিকার তালিকা। তার প্রেমিকার তালিকাও অনেক দীর্ঘ। ক্ষমতায় থাকাকালে ও গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর তার প্রেম, পরকীয়া, সেক্স কাহিনী দেশ-বিদেশে আলোচনার ঝড় তোলে। কোথায় আছেন এরশাদের আলোচিত, সমালোচিত সেসব ‘প্রেমিকা’ ও ‘ফার্স্ট লেডি’রা? তারা এখন কেমন আছেন?
প্রেস ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ‘নিরীক্ষা’ পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস এরশাদের প্রেমিকাদের পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরশাদ সরকারের পতনের পর দেশের গণমাধ্যমগুলো তার প্রেমিকাদের সঙ্গে সেক্স কাহিনী ছাপিয়ে নারীর প্রতি অবিচার করেছে বলে রোবায়েত ফেরদৌসের অভিযোগ। তার এ অভিযোগের পর অনেকের বক্তব্য, এরশাদের প্রেমিকারা উচ্চশিক্ষিতা, সামাজিক মর্যাদার দিক থেকেও অনেক উঁচুতে ছিলেন। সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভুলে গিয়ে তারা এরশাদের সঙ্গে প্রেম, পরকীয়া, সেক্সে মেতে উঠতে পারেন। আর তা লিখলেই তাদের প্রতি অবিচার? অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিয় দেশ’র এ প্রতিবেদন সাজানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই নয়, রাজনৈতিক দাবাড়ু এরশাদ দুর্নীতিপরায়ণ হিসেবে, বহুবিবাহ, অসংখ্য প্রেমিকা, সন্তানসহ নানা দুর্ঘটনায় দেশ-বিদেশে আলোচিত, সমালোচিত। ক্ষমতা দখল করে একদিকে তিনি রাজনীতিতে ধর্মকে টেনেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষনা করেছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে করেছেন। এমনকি পরদিন কোন মসজিদে নামাজ পড়বেন, তা আগের রাতে স্বপ্নেও দেখেছেন। অন্যদিকে এদেশের কোনো নেতা বহুগামিতা নিয়ে রাজনীতিতে এমন সংযোজন-বিয়োগের দ্বিতীয় নজির তার মতো সৃষ্টি করতে পারেননি।
ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ রাজনীতি নিয়ে সকালে বলেন এক কথা, বিকেলে আরেক কথা আর রাতে বলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। সকালে সরকারের সমালোচনা করেন, বিকেলে বিরোধী দলকে নানা উপদেশ দেন। রাতে হেফাজতে ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার খোয়াব দেখেন। তেমনি ক্ষমতায় থাকাকালে তার সকালে, বিকেল, রাতে পাল্টে যেত কথিত প্রেমিকার তালিকা। তার প্রেমিকার তালিকাও অনেক দীর্ঘ। ক্ষমতায় থাকাকালে ও গণঅভ্যুত্থানে পতনের পর তার প্রেম, পরকীয়া, সেক্স কাহিনী দেশ-বিদেশে আলোচনার ঝড় তোলে। কোথায় আছেন এরশাদের আলোচিত, সমালোচিত সেসব ‘প্রেমিকা’ ও ‘ফার্স্ট লেডি’রা? তারা এখন কেমন আছেন?
প্রেস ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত ‘নিরীক্ষা’ পত্রিকায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস এরশাদের প্রেমিকাদের পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরশাদ সরকারের পতনের পর দেশের গণমাধ্যমগুলো তার প্রেমিকাদের সঙ্গে সেক্স কাহিনী ছাপিয়ে নারীর প্রতি অবিচার করেছে বলে রোবায়েত ফেরদৌসের অভিযোগ। তার এ অভিযোগের পর অনেকের বক্তব্য, এরশাদের প্রেমিকারা উচ্চশিক্ষিতা, সামাজিক মর্যাদার দিক থেকেও অনেক উঁচুতে ছিলেন। সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ভুলে গিয়ে তারা এরশাদের সঙ্গে প্রেম, পরকীয়া, সেক্সে মেতে উঠতে পারেন। আর তা লিখলেই তাদের প্রতি অবিচার? অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিয় দেশ’র এ প্রতিবেদন সাজানো হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই নয়, রাজনৈতিক দাবাড়ু এরশাদ দুর্নীতিপরায়ণ হিসেবে, বহুবিবাহ, অসংখ্য প্রেমিকা, সন্তানসহ নানা দুর্ঘটনায় দেশ-বিদেশে আলোচিত, সমালোচিত। ক্ষমতা দখল করে একদিকে তিনি রাজনীতিতে ধর্মকে টেনেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষনা করেছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে করেছেন। এমনকি পরদিন কোন মসজিদে নামাজ পড়বেন, তা আগের রাতে স্বপ্নেও দেখেছেন। অন্যদিকে এদেশের কোনো নেতা বহুগামিতা নিয়ে রাজনীতিতে এমন সংযোজন-বিয়োগের দ্বিতীয় নজির তার মতো সৃষ্টি করতে পারেননি।
নারীদেরকে কথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলতে এরশাদ ক্ষমতা দখল করে কবিতা লেখাও শুরু করেন। বলা হয়ে থাকে, রোমান্টিক কবিতা ও কবির প্রতি নারীরা দুর্বল। নারী, গোলাপফুল, সেক্স বিষয়ক এসব কবিতা ছাপাতে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকদেরকে বাধ্যও করেন রাষ্ট্রপতি এরশাদ। অভিযোগ আছে প্রয়াত বরেণ্য কবি শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, সৈয়দ আলী আহসান, সৈয়দ শামসুল হক, ফজল শাহাবুদ্দীন প্রমুখ ভাড়ায় এরশাদের কবিতা লিখতেন। তাদের রোমান্টিক ও যৌন কবিতা পত্রিকায় ছাপা হতো এরশাদের নামে। এরশাদের পরকীয়া কাহিনী সাপ্তাহিক যায়যায়দিন এ ছেপে তখন দেশ ছাড়তে হয় পত্রিকাটির সম্পাদক শফিক রেহমানকে।
এরশাদের প্রেমিকার তালিকায় ছিলেন মেরি, শাকিলা জাফর, জিনাত মোশাররফ, নাশিদ কামাল, নীলা চৌধুরী, সালমা বীল হেনা, আমেনা বারী, বিদিশা প্রমুখ। এরশাদ ১৯৯৭ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পর সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি একজনকে ভালোবাসতাম।’ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি জিনাত মোশাররফ?’ জবাবে এরশাদ বলেন, ‘অফকোর্স, তোমরা আমার ছেলের মতো। তার নামটা লিখো না প্লিজ!’
ক্ষমতায় থাকাকালে জিনাতের সঙ্গে এরশাদের পরকীয়া কাহিনী ছিল অনেকের মুখে মুখে। তার নামের সঙ্গে মিল রেখে জিনাত মোশাররফ নতুন নামকরন করেছিলেন জিনাত হুসেইন! তার সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক রাশেদ আহমদের কাছে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন এরশাদ। এতে ঘর ভাঙ্গে জিনাতের। ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় সাবেক মন্ত্রী মোশারফের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে এরশাদের ইচ্ছায় সংরক্ষিত আসনে মহিলা সংসদ সদস্য হন জিনাত।
এরশাদের আলোচিত আরেক প্রেমিকা কণ্ঠশিল্পী শাকিলা জাফর। এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে এক পর্যায়ে বিটিভির পর্দা দখলে থাকত তার। এরশাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হতো তার গান দিয়ে। ১৯৮৩ সালে বিটিভির ‘যদি কিছু মনে না করেন’ অনুষ্ঠানে ‘তুলা রাশির মেয়ে’ গানটির মাধ্যমে শাকিলার পরিচিতি ঘটে দর্শক, শ্রোতাদের সঙ্গে। এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি বেশ কয়েক বছর আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি এখন ব্যস্ত থাকেন সঙ্গীতচর্চা নিয়ে।
এরশাদের আরেক প্রেমিকা নাশিদ কামাল সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে। এরশাদের সাথে সম্পর্কের অবনতির পর ক্যাপ্টেন মুসাকে বিয়ে করেন। তবে বিয়েটি টেকেনি। মুসা ও নাশিদ কামালের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায। নাশিদ কামাল এখন টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনির্ভিসিটিতে শিক্ষকতাও করেন।
এরশাদের আরেক প্রেমিকা মেরি। লন্ডনি এ সুন্দরী গতবছর লন্ডনে মারা গেছেন। প্রয়াত চিত্র নায়ক সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীও ছিলেন এরশাদের আলোচিত পরকীয়ার তালিকায়। বছর কয়েক আগে তার স্বামী কমল চৌধুরী মারা গেছেন। তিনি এখন সিলেটে থাকেন।
প্রেম করে এরশাদ তার নিজের বয়সী শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিকের মেয়ে বিদিশাকে বিয়ে করেন। বিদিশার সঙ্গে তার ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। গত চারদলের জোট সরকারের আমলে আলোচিত নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বিদিশার সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়।
তখন অভিযোগ উঠে, দুই বউকে দিয়ে এরশাদ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। রওশন রাখছিলেন ক্ষমতাসীন বিএনপির সঙ্গে, আর বিদিশা রাখছিলেন তখনকার জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে। বিদিশা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লন্ডনে বৈঠকও করেন।
বিষয়টি জানতে পারেন চার দলের জোট সরকারের নীতি নির্ধারকরা। এরপর সরকার থেকে এরশাদকে চাপ দেয়া হয়, তার দ্বিতীয় বউ বিদিশাকে তালাক দিতে। তখন এরশাদের দেয়া চুরির মামলায় জেলে যান বিদিশা, মুক্তিও পান। গত তিন বছর ধরে দেশে অবস্থান করছেন তিনি। এরশাদের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’ নামে একটা বইও লিখেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। পরের বছর জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তার সরকারের পতন ঘটে। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি জেল থেকে অংশ নেন। ছয় বছর আবরুদ্ধ থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এরশাদের প্রেমিকার তালিকায় ছিলেন মেরি, শাকিলা জাফর, জিনাত মোশাররফ, নাশিদ কামাল, নীলা চৌধুরী, সালমা বীল হেনা, আমেনা বারী, বিদিশা প্রমুখ। এরশাদ ১৯৯৭ সালে জেল থেকে বের হওয়ার পর সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি একজনকে ভালোবাসতাম।’ সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি জিনাত মোশাররফ?’ জবাবে এরশাদ বলেন, ‘অফকোর্স, তোমরা আমার ছেলের মতো। তার নামটা লিখো না প্লিজ!’
ক্ষমতায় থাকাকালে জিনাতের সঙ্গে এরশাদের পরকীয়া কাহিনী ছিল অনেকের মুখে মুখে। তার নামের সঙ্গে মিল রেখে জিনাত মোশাররফ নতুন নামকরন করেছিলেন জিনাত হুসেইন! তার সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক রাশেদ আহমদের কাছে খোলামেলা সাক্ষাৎকার দেন এরশাদ। এতে ঘর ভাঙ্গে জিনাতের। ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় সাবেক মন্ত্রী মোশারফের সঙ্গে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে এরশাদের ইচ্ছায় সংরক্ষিত আসনে মহিলা সংসদ সদস্য হন জিনাত।
এরশাদের আলোচিত আরেক প্রেমিকা কণ্ঠশিল্পী শাকিলা জাফর। এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে এক পর্যায়ে বিটিভির পর্দা দখলে থাকত তার। এরশাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হতো তার গান দিয়ে। ১৯৮৩ সালে বিটিভির ‘যদি কিছু মনে না করেন’ অনুষ্ঠানে ‘তুলা রাশির মেয়ে’ গানটির মাধ্যমে শাকিলার পরিচিতি ঘটে দর্শক, শ্রোতাদের সঙ্গে। এরশাদ সরকারের পতনের পর তিনি বেশ কয়েক বছর আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি এখন ব্যস্ত থাকেন সঙ্গীতচর্চা নিয়ে।
এরশাদের আরেক প্রেমিকা নাশিদ কামাল সাবেক প্রধান বিচারপতি মোস্তফা কামালের মেয়ে। এরশাদের সাথে সম্পর্কের অবনতির পর ক্যাপ্টেন মুসাকে বিয়ে করেন। তবে বিয়েটি টেকেনি। মুসা ও নাশিদ কামালের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায। নাশিদ কামাল এখন টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। তিনি নর্থ সাউথ ইউনির্ভিসিটিতে শিক্ষকতাও করেন।
এরশাদের আরেক প্রেমিকা মেরি। লন্ডনি এ সুন্দরী গতবছর লন্ডনে মারা গেছেন। প্রয়াত চিত্র নায়ক সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীও ছিলেন এরশাদের আলোচিত পরকীয়ার তালিকায়। বছর কয়েক আগে তার স্বামী কমল চৌধুরী মারা গেছেন। তিনি এখন সিলেটে থাকেন।
প্রেম করে এরশাদ তার নিজের বয়সী শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিকের মেয়ে বিদিশাকে বিয়ে করেন। বিদিশার সঙ্গে তার ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। গত চারদলের জোট সরকারের আমলে আলোচিত নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বিদিশার সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়।
তখন অভিযোগ উঠে, দুই বউকে দিয়ে এরশাদ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। রওশন রাখছিলেন ক্ষমতাসীন বিএনপির সঙ্গে, আর বিদিশা রাখছিলেন তখনকার জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে। বিদিশা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে লন্ডনে বৈঠকও করেন।
বিষয়টি জানতে পারেন চার দলের জোট সরকারের নীতি নির্ধারকরা। এরপর সরকার থেকে এরশাদকে চাপ দেয়া হয়, তার দ্বিতীয় বউ বিদিশাকে তালাক দিতে। তখন এরশাদের দেয়া চুরির মামলায় জেলে যান বিদিশা, মুক্তিও পান। গত তিন বছর ধরে দেশে অবস্থান করছেন তিনি। এরশাদের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’ নামে একটা বইও লিখেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। পরের বছর জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তার সরকারের পতন ঘটে। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি জেল থেকে অংশ নেন। ছয় বছর আবরুদ্ধ থাকার পর ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান।
No comments:
Post a Comment