দলের কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়লেও সংসদের হাজিরা খাতায় শেষের দিকেই নাম রয়েছে তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের।
সম্প্রতি একটি অলাভজনক সংস্থা সংসদের নথি উদ্ধৃত করে বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী সাংসদের লোকসভা এবং রাজ্যসভায় উপস্থিতির হার প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ঘাটালের সাংসদ দেবের লোকসভায় হাজিরার হার মাত্র ৯ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত তিনি একটি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু কোনও প্রশ্ন করেননি। তবে তা সত্ত্বেও তিনি হারিয়ে দিয়েছেন রেখাকে! কারণ, রাজ্যসভায় অভিনেত্রীর উপস্থিতির হার মাত্র পাঁচ শতাংশ।
একই অবস্থা তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ মিঠুন চক্রবর্তীর। ২০১৪ সালে তিনি সাংসদ হন। তাঁর উপস্থিতির হার ১০ শতাংশ। কোনও প্রশ্ন করেননি এবং বিতর্কেও অংশগ্রহণ করেননি। সংসদে হাজিরার বিষয়ে দেব এবং মিঠুনের ক্ষেত্রে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য প্রথম থেকেই ছাড় দিয়ে রেখেছিলেন। আর ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা বিতর্কে নাম জড়ানোর পর থেকে নিজেকে আরও গুটিয়ে নিয়েছেন ‘মহাগুরু’। ওই বিতর্ক শুরু হওয়ার পর ‘অসুস্থতা’র কারণ জানিয়ে রাজ্যসভায় চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
সে দিক থেকে তৃণমূলের আরও তিন তারকা সাংসদের উপস্থিতির হার সন্তোষজনক। বাঁকুড়ার সাংসদ মুনমুন সেন এবং কৃষ্ণনগরের সাংসদ তাপস পালের হাজিরার হার যথাক্রমে ৭০ এবং ৬৪ শতাংশ। অবশ্য এঁদের সকলের চেয়ে একধাপ এগিয়ে রয়েছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। অভিনেতা-সাংসদের উপস্থিতির ক্ষেত্রে তাঁর স্থান দ্বিতীয়। বিজেপি’র কিরণ খেরের পরেই। শতাব্দীর উপস্থিতির হার ৭৬ শতাংশ।
ওই সংস্থার তরফে প্রকাশিত নথিতে দেখা গিয়েছে, লোকসভা এবং রাজ্যসভা সাংসদদের উপস্থিতির হারের গড় যথাক্রমে ৮২ এবং ৭৯ শতাংশ। কিরণের হাজিরার হার ৮৫ শতাংশ। অন্য তারকা-সাংসদের মধ্যে শতাব্দীর সঙ্গেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি’র পরেশ রাওয়াল এবং মনোজ তিওয়ারি। অভিনেতা বিনোদ খন্না, শত্রুঘ্ন সিন্হা এবং অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের উপস্থিতির হার যথাক্রমে ৫৯, ৭৪ এবং ৬৮ শতাংশ।
মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী ১০টি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। প্রশ্ন করেছেন ১১৩টি। যদিও তাঁর হাজিরার হার ৩৭ শতাংশ।
No comments:
Post a Comment