Tuesday, September 6, 2016
পৃথিবীর কোন দেশের পাসপোর্ট কি কালারে হয় ?
সাধারণত একটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করেই পাসপোর্টের রং ঠিক করা হয়। তবে ওই রঙের বরাদ্দ বাকি আছে কি না সেটিও নিশ্চিত হতে হয়। তবু, প্রতিটি রাষ্ট্রের পাসপোর্টের রং মূলত চারটি মূল রং থেকে নির্ধারিত হয়। এই রংগুলো হলো লাল, সবুজ, নীল ও কালো। এই চারটি রঙের বিভিন্ন শেড দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট। পাসপোর্ট দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেয় ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশন (আইসিএও)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে তাদের পাসপোর্টের রং এবং নকশা বেছে নেওয়ার সময় এর পক্ষে যথাযথ কারণ দর্শাতে হয় বলেও জানা যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পাসপোর্টের রং কিছুটা লালচে খয়েরি। অন্যদিকে কিছু ক্যারিবীয় দেশের পাসপোর্টের রং নীল। এর কারণ হতে পারে ভৌগোলিক বা রাজনৈতিক। অন্যদিকে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মতো দেশগুলোর প্রতীক হিসেবে নীল রং ব্যবহার করা হতে পারে। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার আশায় তুরস্ক তাদের পাসপোর্টের রং বদলে লালচে খয়েরি করেছে। কোনো কোনো দেশের পাসপোর্টের রঙের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাসও প্রাধান্য পায়। যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মরক্কোর মতো দেশগুলোর পাসপোর্টের রং সবুজের বিভিন্ন শেড। ইসলাম ধর্মে সবুজ রঙের বিশেষ গুরুত্ব আছে বলেই মুসলিম দেশগুলো এই রঙের পাসপোর্ট বেছে নেয় বলে মনে করা হয়। কিছু কিছু দেশ আবার নিজেদের আলাদা করে বোঝাতে পাসপোর্টের রং নির্ধারণ করে। যেমন, সুইজারল্যান্ডের পাসপোর্টের রং উজ্জ্বল লাল। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট কমলাটে ধাঁচের লাল। অন্যদিকে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সাদা রঙের পাসপোর্ট ইস্যু করে কানাডা।এদিকে বেশ কয়েকবার পাসপোর্টর রং পরিবর্তন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। লাল থেকে সবুজ আবার সবুজ থেকে এখন নীল রঙে পরিণত হয়েছে দেশটির পাসপোর্টের রং। পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত। পুরো বিশ্বের মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করতে পারে। বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট সম্পর্কিত নানা তথ্য সন্নিবেশের কাজ করে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে আরটন গ্রুপ অন্যতম। ছবির ম্যাপ বলে দিবে কোন দেশের পাসপোর্টের রঙ কি।
Labels:
বিভিন্ন দেশে ভিসা আবেদন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment