মিতালি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সাত বছর বয়সী বর্ষা খেমুডু। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মালকানগিরি জেলা হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা।
অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে মালকানগিরির উদ্দেশে রওনা হন বর্ষার বাবা দীনবন্ধু খেমুডু। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই মৃত্যু হয় বর্ষার।
তা জানার সঙ্গে সঙ্গে মাঝপথেই দীনবন্ধুদের অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে দেন চালক। সাত বছরের সদ্যমৃত মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে হাঁটতে থাকেন দীনবন্ধু এবং তার স্ত্রী।
প্রায় ৬ কিলোমিটার যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা তাদের ওই অবস্থায় দেখে পাশে এসে দাঁড়ান। স্থানীয় বিডিও'র হস্তক্ষেপে দ্রুত আরেকটি গাড়িতে তাদের বাড়িতে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়।
দীনবন্ধু বলেন, 'মেয়ের অবস্থা জানতে চান চালক। মরা গেছে বলার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স থেকে আমাদের নামিয়ে দেয়া হয়।'
মালকানগিরির জেলা কালেক্টর কে সুধাকৃষ্ণন চক্রবর্তী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অফিসার উদয়শঙ্কর মিশ্রকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সুধাকৃষ্ণন বলেন, 'এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ বেআইনি ও ফৌজদারি অপরাধ। ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক এবং উপস্থিত সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
পাশাপাশি ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মালকানগিরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীন পট্টনায়ক সরকারের নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
কেন্দ্রীয় তফশিলি বিষয়কমন্ত্রী জুয়াল ওরাম বলেন, 'ওড়িশা এবং গোটা ভারতের পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। তফশিলিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার যে ব্যর্থ, তা আবার প্রমাণিত হল।'
দানা মাঝির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকারের দেয়া ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের বরাদ্দ টাকা ওড়িশা সরকারের ঠিকভাবে খরচ করা উচিত।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতে, দানা মাঝির ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেয়া হলে এই জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যেতো।
No comments:
Post a Comment