সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, মহিলা ও কিশোরীদের ধর্ষণ, তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ব্যাপক ভিত্তিক অভিযোগ আছে।
তবে সেনাবাহিনী বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। টানা অভিযোগের এক পর্যায়ে তারা সম্প্রতি শুধুমাত্র ৬৯ জন 'বাঙালী' এবং 'সহিংস হামলাকারী'কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
শুক্রবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাখাইনে সেনা অভিযানে অনেকে নিহত হয়েছেন এবং মাত্র এক সপ্তাহে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। খবর এএফপির।
গৃহহীন এসব রোহিঙ্গারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেও বিজিবি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। এতে তারা নিদারুণ মানবিক দুর্যোগে পড়েছেন।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত সেনাবাহিনীর এ নির্যাতনের কড়া সমালোচনা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বিষয়টি নিয়ে নোবেলজয়ী দেশটির নেত্রী অং সান সুচির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জাতিসংঘের তথ্যে, সেনা অভিযানে শুধুমাত্র ১২ ও ১৩ নভেম্বর ১৫ হাজার রোহিঙ্গা তাদের বাড়ি থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সবমিলে ৩০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
এ প্রেক্ষাপটে শুক্রবার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর কাছে জাতিসংঘ তাদের সীমান্ত খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এরআগে ২০১২ সালে রাখাইনে বৌদ্ধদের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা এবং বহু মানুষকে ঘরছাড়া করা হয়।
No comments:
Post a Comment