ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বার্তা আদান প্রদানের অভিযোগে হিলারি ক্লিনটনকে জেলে পাঠাবেন- এটি ছিলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবচাইতে বড় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর একটি। তবে সেখান থেকে এখন পিছু হটেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি হিলারি ক্লিনটনকে আর কষ্ট দিতে চান না।
প্রেসিডেন্ট হলে হিলারি ক্লিনটনকে জেলে পাঠাবেন এমন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে যুক্তি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওরকম কিছু করলে বরং মানুষজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে।
ট্রাম্পের মুখপাত্র কেলিএ্যান কনওয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি (ট্রাম্প) আরো জরুরি বিষয়ে মনোনিবেশ করছেন।
তিনি আরো বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ যে হিলারি ক্লিনটনকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেনি সেই সত্যের মুখোমুখি তাকে হতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন হিলারি ক্লিনটনব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় বার্তা আদান প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্ত করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
প্রতিশ্রুতি থেকে ট্রাম্পের সরে আসার বিষয়ে চটেছেন তার সমর্থকরা। কেউ কেউ তাকে রীতিমতো 'বিশ্বাসঘাতক' বলে আখ্যা দিয়ে ফেলেছেন।
নির্বাচনের সময় কঠোরভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন এরকম আরো বেশ কয়েকটি ইস্যুতেও ভিন্ন সুরে কথা বলছেন ট্রাম্প। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রচারণার সময় ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে আখ্যা দিয়ে এখন ট্রাম্প বলছেন বিষয়টি তিনি খোলা মনে দেখতে চান।
No comments:
Post a Comment