অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলছে, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমষ্টিগতভাবে শাস্তি দিচ্ছে। এ থেকে বাঁচতে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের পুশ-ব্যাক করছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ- দুই দেশের আচরণকেই 'নিষ্ঠুর' আখ্যা দিয়ে অ্যামনেস্টি বলছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। বিবৃতিতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক চম্পা প্যাটেল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আসা মানুষরা, যারা নাফ নদীতে বা ভূমিতে আত্মগোপন করে আছে, তারা খাবার, পানি এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলে অ্যামনেস্টি জানতে পেরেছে, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুটতরাজ চালাচ্ছে।
সংস্থাটির হিসেব অনুযায়ী, এরই মধ্যে অন্তত দুই হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে আশপাশের গ্রামে, শরণার্থীশিবিরে এবং বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। যে কারণে তাদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মিজ প্যাটেল।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান চালাচ্ছে।
গত ৯ অক্টোবর ৯ জন সীমান্তরক্ষীর হত্যার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত মংডুতে অভিযান শুরু করে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
সূত্র : বিবিসি বাংলা।
No comments:
Post a Comment