দক্ষিণী অভিনেত্রী মীরা জেসমিন ধর্ষণের শাস্তি কী হতে পারে তা নিয়ে তার মত প্রকাশ করেছেন। এই অভিনেত্রীর দাবি, পুরুষাঙ্গ ছেদনই হতে পারে ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি।
সম্প্রতি তার সিনেমার প্রচারে এসে এমন কথা বলেন নায়িকা।
পুরুষাঙ্গ ছেদন আদিমতম শাস্তিগুলোর একটি। আধুনিক সভ্যতার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ঔপনিবেশিক সময় থেকেই ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় বিচারব্যবস্থা থেকে সরে যেতে থাকে এই শাস্তি।
তবে সামাজিক কাঠামো থেকে এখনও বিলুপ্ত হয়নি এই শাস্তি। যা খবরের কাগজ খুললেই মাঝে মাঝে দেখা যায়।
ধর্ষণ-খুনের অপরাধীর কি সত্যিই হাজতবাসের মতো ‘সহজ’ শাস্তি হওয়া উচিত নাকি পুরুষাঙ্গ ছেদনের মতো শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণাময় শাস্তিই তার প্রাপ্য?
এই বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মীরা জেসমিন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যেসব পুরুষ নারীদের যৌননিগ্রহ করে, তাদের অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হওয়া উচিত এবং একমাত্র পুরুষাঙ্গ ছেদনই তাদের মতো মানুষকে শিক্ষা দেয়ার উপযুক্ত শাস্তি।
মীরা যে সিনেমার প্রচারে গিয়েছিলেন তার গল্প একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এক দলিত নারীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে ছবির গল্প।
সেই ছবির সাংবাদিক সম্মেলনে এসেই পুরুষাঙ্গ ছেদন সম্পর্কে মতামতটি প্রকাশ করেন মীরা।
মীরার কথায়, যারা এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করে, তাদের এমন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দিলে তবেই তারা জীবনে আর অন্য কোনো নারীকে স্পর্শ করতে সাহস পাবে না!
Sunday, November 27, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment