নিজের মায়ের গাড়িতে বসে তোলা এক মেয়ের রোমহর্ষক সেলফিতে গাড়িটির পেছনের সিটে বসে থাকা একটি ভূতের বাচ্চার ছবি উঠেছে। অতিপ্রাকৃত তৎপরতা বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস এটি কবর জগত থেকে একটি সতর্কতা সংকেত ছিল।
মেলিসা কার্টজ (৪৮) তার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে হার্পারকে গাড়িতে করে নিয়ে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে যাচ্ছিলেন। এ সময় মেয়েটি একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হয়ে নিজের ছবি তুলতে থাকে।
দুই সন্তানের ওই জননী দাবি করেছেন, তিনি পরে তার মেয়ের তোলা একটি ছবিতে তার গাড়ির পেছনের সিটে বসা একটি ভূতের বাচ্চার ছবি শনাক্ত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ভাবতে গিয়ে মেলিসা আবিষ্কার করেন যে, তার মেয়ে যেদিন ছবি তুলছিল সেদিন ছিল একটি মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তি। তার ধারণা ওই দুর্ঘটনায় হয়তো কোনো শিশু নিহত হয়েছিল।
অতিপ্রাকৃত তৎপরতা নিয়ে অনুসন্ধানকারী বেশ কয়েকজন এই ছবি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছেন, হার্পারের দিকে ভূতের হাত তেড়ে এসেছে হয়ত।
কিন্তু মেলিসা বলেন, তিনি ভূতের তাড়া নিয়ে ভীত নন। আর তার মেয়ে হার্পারও অতিপ্রাকৃত তৎপরতার একটি ম্যাগনেট।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দা মেলিসা বলেন, “যেখানে ছবিটি তোলা হয়েছিল ঠিক সেখানটাতেই একবছর আগে মারাত্মক একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তখন একটি হেলিকপ্টারে করে কাকে যেন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেখেছিলাম আমি।”
“তবে আমি জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও তারা আমাকে নির্দিষ্ট করে কিছুই জানায়নি। ফলে আমি ধরে নিয়েছিলাম এটি কোনো শিশু হবে হয়ত। আর এ কারণেই তারা আমাকে কোনো তথ্য দেয়নি।”
ভূতের বাচ্চার ছবিটির ব্যাপারে মেলিসা বলেন, “এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিশ্বকে ছবিটি দেখতে হবে। কারণ আমি জানি এটি খাঁটি এবং বাস্তব ছবি। গাড়িতে আমরা মা মেয়ে দুজনই মাত্র ছিলাম।”
কানাডার এইডোলোন প্রজেক্টে কর্মরত মনোবিজ্ঞান, পরকাল এবং অতিপ্রাকৃত অধ্যায়ন বিভাগের পরিচালক গ্রেগ পোচাতে ছবিটি দেখান মেলিসা। গ্রেগ পোচা এফবিআই এবং সিআইএ ছবি বিশ্লেষণে ব্যবহার করে এমন প্রযুক্তির ব্যবহার করে ছবিটি বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন, গাড়ির পেছনের সিটে বসে থাকা ভূতের বাচ্চার ছবিটির কোনো রং বা তাপমাত্রা নেই। তার মানে এটি নিশ্চয় কোনো ভূতের ছবি।
No comments:
Post a Comment