মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর কঠোর দমন-পীড়নের মুখে কয়েকশ' সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। তারা শিশুদের নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঢুকতে চাইছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জানান, পালানোর সময় বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খবর এএফপি ও বিবিসির
গোলযোগপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি সামরিক অভিযানকালে অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়েছে। রাজ্যটির অধিকাংশ বাসিন্দাই সংখ্যালঘু মুসলিম।
প্রতিবেশী দেশটিতে এই পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা পাহারা জোরদার করেছে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, রোহিঙ্গা পল্লীর কয়েকশ' বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
তবে মিয়ানমার সরকার এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। বিদেশি সাংবাদিকদেরও ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাস করে। তবে সরকার তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। দেশটির জনগণ রোহিঙ্গাদেরকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে।
গত মাসে মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত চৌকিতে সমন্বিত হামলায় সীমান্ত পুলিশের ৯ সদস্যের মৃত্যু হয়। ওই হামলার জন্য রোহিঙ্গাদের দায়ী করে দেশটির সীমান্ত রক্ষা বাহিনী। এর পর পরই রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধ ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়।
ওই ঘটনার পর সেনা সদস্যরা রাজ্যটির বেশ কিছু অংশে অবাধ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেখানে ত্রাণকর্মী ও স্বাধীন পর্যবেক্ষকদেরও যেতে দেয়া হচ্ছে না।
এক সপ্তাহ আগে রাজ্যটির রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে সেনাবাহিনী চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহিংস হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছে।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির দল মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসার পর রাখাইন রাজ্যের সমস্যা খতিয়ে দেখতে একটি সরকারি কমিশন গঠন করেছে। যদিও রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে দেশটির সরকার বরাবরই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে আসছে।
Thursday, November 17, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment