তুরস্কের বিতর্কিত ধর্ষণবিরোধী আইনের প্রস্তাবিত আইন বাতিল করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদ্রিম। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছিল, অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো মেয়ে ধর্ষণের পরে ধর্ষক তাকে বিয়ে করলে তার সাজা মওকুফ হয়ে যাবে।
তুরস্কের সংসদে এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভোটাভুটি কয়েক ঘণ্টা আগে সেটি ‘আরো বিবেচনা’ করে দেখার কথা বলে সরিয়ে নেয়া হয়। প্রস্তাবিত এই আইনের বিরুদ্ধে তুরস্কে বিক্ষোভ হয় এবং বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। সমালোচকরা বলেন, এই আইন ধর্ষণ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বিয়ে করতে উৎসাহ দেবে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা তুরস্কের সরকারকে এই আইন অনুমোদন না করতে আহ্বান জানায়। কিন্তু তুরস্ক সরকারের মতে, এই আইন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে কিংবা মেয়ের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের পরেও যেসব পুরুষ সাজাভোগ করছেন তাদের মুক্তির জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
তুরস্কে বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৮, তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক বিবাহ বহুলভাবে প্রচলিত। তুরস্কের আইন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী বিগত ১০ বছরে, ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৪০ হাজার অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী মেয়ে সন্তানের মা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ হাজার ৯৩৭ জনের বয়স ১৫ বছরের নিচে। তুরস্কের আইনানুযায়ী ১৫ বছরের কম বয়সী যে কারো সঙ্গে সবধরণের যৌন সংসর্গ অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। এই সময়ে শিশু যৌন নিপীড়নের মাত্রা তিনগুণ বেড়েছে। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment