ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ ক্যারোলিনার গভর্নর নিকি হ্যালেকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম প্রতিবেদন সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে। নিকি হ্যালে ট্রাম্প প্রশাসনে প্রথম অ-শেতাঙ্গ মন্ত্রী পর্যায়ের নারী কর্মকর্তা।
মিসেস হ্যালে একজন ভারতীয় অভিবাসীর কন্যা এবং নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ছিলেন। ৪৪ বছর বয়স্ক এই রাজনীতিককে রিপাবলিকান দলের উদীয়মান তারকা হিসেবে দেখা হয়।তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কনিষ্ঠতম গভর্নর ।
তিনি সঙ্গত কারনে ট্রাম্পকে ভোট দিলেও, ট্রাম্পের “ভক্ত” বা হিলারির “নিন্দুক” নন এমন অভিযোগ রয়েছে এই গভর্নরের বিরুদ্ধে।
মিসেস হ্যালে রিপাবলিকান দলের প্রাখমিক নির্বাচনী প্রচারণায় ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওর সমর্থক ছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাম্প চুড়ান্ত মনোনয়নের পূর্বে তিনি সিনেটর টেড ক্রুজ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বৈরতে ক্রুজের পক্ষ নেন।
মিসেস হ্যালে, যিনি জন্মসূত্রে নিম্রত নিকি রান্ধাবা নামে পরিচিত। তিনি দক্ষিণ ক্যারোলিনার প্রথম সংখ্যালঘু এবং নারী গভর্নর। উল্লেখ্য, অতি সংকীর্ণমনা এই প্রদেশের সাম্প্রদায়ীকতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
নিকি হ্যালে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় সিরিয়ান সরণার্থী পূনর্বাসনের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন গড়ে তোলেন; তাছাড়াও রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার স্বাস্থসেবা আইন স্বাক্ষরে বিরোধিতা করেন।
এই মাসের শুরুতে মিসেস হ্যালে রিপাবলিকান গভর্নরস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এবং ২০১৮ সালে দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হবার পথ সুগম করেছেন।
এই ভারতীয় বংশোদ্ভোত, আলাস্কার গভর্নর সারা পলিনের সহায়তায় ২০১০ সালে ২য় এবং শেষ বারের মত গভর্নর নির্বাচিত হন।
রাজ্যের প্রধান নির্বাহী নির্বাচিত হওয়ার আগে ছয় বছর ‘হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ’ এর সদস্য ছিলেন।
শিখ পরিবারে জন্ম নেওয়া মিসেস হ্যালে পরবর্তীতে নিজেকে খ্রিস্টান পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন। তিনি ন্যাশনাল আর্মি গার্ড এর ক্যাপ্টেন মাইকেল হ্যালেকে বিয়ে করেন। তিনি দুই সন্তানের জননী।
No comments:
Post a Comment