ফুটবলের দেশ হিসেবে আমরা সবাই ব্রাজিলকে চিনি। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি বিশাল, এখানে রয়েছে অ্যামাজন বন। কৃষিপ্রধান এই দেশের বিষয়ে সংক্ষেপে আরো কিছু আমরা জানব আজ।
১. ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ।
২. ‘ব্রাজিলউড’ নামের একটি গাছ থেকে ‘ব্রাজিল’ নামটি হয়েছে।
৩. পর্তুগিজ ভাষায় একে বলা হয় ‘ব্রাসিল’, দেশটির দাপ্তরিক ভাষাও পর্তুগিজ!
৪. দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলই একমাত্র পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশ।
৫. ১৫০০ বছর দেশটি দখলে রেখেছিল পর্তুগাল। ব্রাজিল স্বাধীন হয় ১৮২২ সালে।
৬. আয়তন ও জনসংখ্যায় ব্রাজিলের অবস্থান পৃথিবীতে ৫ম।
৭. ২০১২ সালে ব্রাজিলের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২০ কোটি।
৮. ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া, আর সবচেয়ে বড় দেশ সাও পাওলো। আরো কিছু বড় ও বিখ্যাত শহর হল রিও ডি জেনিরো, সালভাদর এবং ফোর্তালেজা।
৯. রাস্তার ডানপাশ দিয়ে ব্রাজিলে গাড়ি চালানো হয়।
১০. ব্রাজিলের টাইম জোন তিনটি! অর্থাৎ দেশের তিনটি জায়গায় তিন রকম সময়!
১১. ব্রাজিলের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে অ্যামাজন নদী, যা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।
১২. অ্যামাজনের রেইনফরেস্টের ৬০ শতাংশ অঞ্চল ব্রাজিলে।
১৩. বহু বিচিত্র প্রাণীর আদি নিবাস ব্রাজিলে-আর্মাডিলো, ট্যাপির, জাগুয়ার, পুমা।
১৪. প্রতি বছর ব্রাজিলে বেড়াতে আসেন লাখ লাখ পর্যটক।
১৫. ব্রাজিলে বিমানবন্দর রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার।
১৬. ফুটবল ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ব্রাজিল মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ব্রাজিলে পূর্বভাগ আটলান্টিক মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। যার উপকূলীয়ভাগের দৈর্ঘ প্রায় ৭,৪৯১ কিমি (৪,৬৫৫ মা)।ব্রাজিলের উত্তরে রয়েছে ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দেপার্ত্যমঁ ফরাসি গায়ানা। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমভাগে কলম্বিয়া; পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে, এবং সর্ব-দক্ষিণে দক্ষিণে উরুগুয়ে অবস্থিত। ব্রাজিলীয় সীমানায় আটলান্টিক মহাসাগরের বেশকিছু দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত, যার মধ্যে রয়েছে ফের্নান্দু জি নরোনিঁয়া, রোকাস অ্যাটল, সেন্ট পিটার ও সেন্ট পল রকস, এবং ত্রিনিদাজি এ মার্চিঁ ভাজ। ব্রাজিলের সাথে চিলি ও ইকুয়েডর ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকার সকল দেশেরই সীমান্ত-সংযোগ রয়েছে।
প্রাথমিক ভাগে এটি ব্রাজিলীয় সাম্রাজ্য হিসেবে সার্বভৌমত্ব অর্জন করলেও ১৮৮৯ সাল থেকে এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে শাসিত হয়ে আসছে। ১৮২৪ সালে ব্রাজিলের প্রথম সংবিধান পাশ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সরকার ব্যবস্থা চলে আসছে, যা বর্তমানে কংগ্রেস নামে পরিচিত। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী ব্রাজিল একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র। একটি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট, ২৬টি প্রদেশ, ও ৫,৫৬৪টি মিউনিসিপ্যালিটি নিয়ে এর যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে।
ব্রাজিলে প্রচুর বিদেশী নাগরিক রয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন। তাদের ভাবনায় রয়েছে একটু বিপরীত কিছু। তা হলো ব্রাজিলের মিনাজেরাইস সিটিতে গড়ে তোলতে চান একটি বাঙালী সিটি। পৃথিবীর অন্য দেশে না পারলেও ব্রাজিলে সম্ভব হতে পারে সেই স্বপ্ন পূরণ।
বাণিজ্যিক নগরী সাও পাওলোতে রয়েছেন সব চেয়ে বেশি বাংলাদেশী। তারা ব্যবসার কাজে বেশির ভাগ সময় মিনাজেরাইস সিটিতে চলে যান। ব্রাজিলের সুন্দর শহরের একটি মিনাজেরাইস।তাইতো বাঙালিরা স্বপ্নের দেশ ব্রাজিলে গড়তে চান স্বপ্নের শহর।
----------------পরবর্তী লেখা আগামী কাল
No comments:
Post a Comment