মিয়ানমার সেনা সদস্যের নিপীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে স্বপরিবারে ছুটে আসছে বাংলাদেশে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশকারী ১৯১ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। এর আগে তাদের খাদ্য ও মানবিক সেবা দেওয়া হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
গত ২০ ও ২১ নভেম্বর প্রায় ৫০ পরিবারের আড়াই শতাধিক রোহিঙ্গা নাগরিক হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করে কুতুপালং অবৈধ রোহিঙ্গা বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
মংন্ডু কেয়ারী পাড়া থেকে আসা কামাল আহমদ (৫০) জানায়, মিয়ানমারের সশস্ত্র সদস্যরা কেয়ারী পাড়া, জাম্বুনিয়াপাড়া, গৌজবিল, রাঙ্গা বালি, ছালিপ্রাং ও হাতিরটেরা সহ ৭/৮টি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে।
তারা বলছে কনকণে শীতের রাতের এপাড়া থেকে ওপাড়া পাহার জঙ্গল খাল-বিল, নদী নালায় নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়ে এদিকে চলে আসার অপেক্ষা করছে হাজার রোহিঙ্গা পরিবার। কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি আবু ছিদ্দিক জানান, উনচিপ্রাং নাফ নদীর মাঝামাঝি সীমানায় জেগে ওঠা চর হউসুডিয়ায় বর্তমানে ৪ হাজার রোহিঙ্গা এপারে চলে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আনসার, ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ সহ কমিউনিটি পুলিশদের সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ১৯১ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন রাখা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment