বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যনির্বাচনের উপর সন্তানের শরীরের বর্ণ কেমন হবে তা নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে যে জিন পেয়েছে তার উপর। তবে প্রচলিত ধারণা রয়েছে, গর্ভবতী অবস্থায় যেসব খাবার গ্রহণ করা হয়,তার ওপর বাচ্চার বর্ণ নির্ভর করে। এতে বাচ্চা ফর্সাও হতে পারে!
আর আপনারও যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে এসব পুরাণ কথায়, তাহলে এসব সাদা খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করতে পারেন।
যদিও এসব খেয়ে বাচ্চার রঙ ফর্সা হবে এমন নিশ্চিয়তা কোনও চিকিৎসকই দিতে পারেননি। তবে আপনিও যদি ওই পুরনো কথা বিশ্বাস করেন, তাহলে গর্ভাবস্থায় ওইসব খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। তাহেল দেরি কেন আসুন জেনে নিই ওই খাবারগুলো কী, যা খেলে সন্তানের রঙ ফর্সা হবে?
নারকোল : আপনি যদি ফর্সা বাচ্চা চান, তাহলে নারকেলের সাদা শ্বাসটা খাওয়ার অভ্যেস করুন। কারণ সাদা শ্বাস বাচ্চা ফর্সা হতে সাহায্য করে।
জাফরান-দুধ : অনেক নারী গর্ভাবস্হায় কেশর দুধ খান।তাদের বিশ্বাস যে কেশর সন্তানকে ফর্সা হতে সাহায্য করে।কেশর গর্ভে বেড়ে ওঠা বাচ্চার ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
দুধ : গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীর উচিত বেশি করে দুধ খাওয়া।দুধ বাড়ন্ত ভ্রুণের সুগঠনের জন্য অবশ্যই দরকার।
ডিম : বাচ্চার রঙ ফর্সার জন্য চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ মাসের মধ্যে ডিমের সাদা অংশ খাওয়া উচিত।
বাদাম : আপনি যদি ফর্সা সন্তান চান, তাহলে গর্ভাবস্হায় শুকনো বা ভেজানো আলমন্ড বাদাম খান।অনেকেই বিশ্বাস করেন, বাদাম মিশ্রিত দুধ গায়ের রঙ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, তাই গর্ভাবস্হায় খাওয়া উচিত।
ঘি : গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীর খাবারের মধ্যে ঘি-এর মাত্রা বেশি থাকে তাদের প্রসব যণ্ত্রণা কম হয়।ওদিকে প্রচলিত চিন্তাধারা অনুযায়ী, ঘি ভ্রুণের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সহায়ক। তাই তেলের জায়গায় ঘি খান।
মৌরি : মৌরি ভেজানো জল ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে খুব কার্য্যকরি।গর্ভবতী নারীদের রোজ সকালে ৩ মিলি মৌরি ভেজানো জল খাওয়া উচিত। এতে অবশ্য গা বমি ভাবটাও অনেকটা কেটে যায়।
কমলা লেবু : গর্ভাবস্থায় রসাল ফলের মধ্যে কমলালেবু অবশ্যই খাওয়া উচিত। এটি ভিটামিন সি-এ ভর্তি, যা বাড়ন্ত বাচ্চার পক্ষে খুব ভালো এবং ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করতেও সহায়ক।
No comments:
Post a Comment