দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান বিরোধী দল দুর্নীতির অভিযোগের কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইকে অভিশংসিত করতে চাচ্ছে। তারা বলছে, এর নানা দিক তারা খতিয়ে দেখছে।
সিউলের কৌঁসুলিরা রবিবার জানান, ইতোমধ্যে দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত বন্ধুকে প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাই যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। এর একদিন পর সোমবার বিরোধী দল তাদের অভিশংসনের পরিকল্পনার কথা জানায়। আর এই দুর্নীতির কেলেংকারির ঘটনায় পার্ক ইতোমধ্যে অনেক চাপের মুখে পড়েছেন এবং জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।
পার্কের দীর্ঘদিনের বন্ধু চোই সুন-সিলকে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রভাব খাটিয়ে ৬ কোটি ডলারের বেশি অর্থ আদায় করার জন্যে অভিযুক্ত করা হয়। বিরোধী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান চো মি-আয়ি বলেন, পার্ককে ‘কোন পদ্ধতিতে এবং কখন অভিশংসিত করা যায় তা আমরা দ্রুত পর্যালোচনা করবো। এছাড়া তার অভিশংসনের ব্যাপারে আমরা একটি উপ-কমিটি গঠন করবো।’ ইতোমধ্যে দু’টি ছোট দল জানিয়েছে, তারাও পার্ককে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে।
এদিকে দেশটিতে সাপ্তাহিক গণবিক্ষোভে লাখ লাখ লোক অংশ নেয়ায় পার্ককে উৎখাতের ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। তবে অভিশংসন প্রক্রিয়া শেষ করতে মাসের পর মাস লেগে গেলে রক্ষণশীল ভোটারদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আশংকায় ডেমোক্রেটিক দল এই পদক্ষেপ গ্রহণে তেমন একটা আগ্রহী হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, পার্কের পাঁচ বছরের মেয়াদকাল ২০১৮ সালে শেষ হবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এক্ষেত্রে তিনি তার মেয়াদ শেষ করতে সম্ভাব্য সবকিছু করবেন। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহ বা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছাড়া ক্ষমতাসীন কোন প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করা যায় না।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে তিন বিরোধী দলের যৌথভাবে ৫৫ শতাংশ আসনের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে যা দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে না। অথচ অভিশংসন বিল পাস করাতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন।
এএফপি।
No comments:
Post a Comment