Social Icons

Saturday, November 5, 2016

কান্না কেন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি..?

ছোট থেকেই আমাদের শেখানো হয়ে থাকে সবার সামনে কেঁদে ফেলাটা খুবই লজ্জার এবং অপমানজনক। চোখের পানি ফেলতে সবসময়ই বারণ করা হয়। বিশ্বের সবজায়গাতেই কান্নাকে দুর্বলতার বহি:প্রকাশ বলে মনে করা হয়। প্রতিনিয়ত আমরা হাসির উপকারিতা শুনে থাকি। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের প্রতিনিয়ত হাসতে বলা হয়। কিন্তু কান্নার কি কোনো উপকারিতা নেই?

হাসি যদি আবেগ প্রকাশের মাধ্যম হয়, তবে কান্নাও তো মানুষের আবেগ প্রকাশের বড় এক মাধ্যম। তাহলে আমরা কেনইবা কান্নাকে দুর্বলতা বলে এড়িয়ে যাই? বলা যায়, সাবান যেমন দেহকে পরিষ্কার রাখে তেমনি কান্না মনকে পরিষ্কার রাখে। অনেকেই বিশ্বাস করে থাকেন, শুধু বাচ্চারাই কাঁদবে। বয়স্ক কাউকে কাঁদতে দেখাকে বেশ বিব্রতকর বলেই মনে করেন তারা। কিন্তু এটা সবাই জানে যে কাঁদলে মন কিছুটা হলেও হালকা হয়। সেক্ষেত্রে বয়স কোন সীমারেখা তৈরি করতে পারে না।

কান্নার উপকারিতার কথা স্বীকার করেছেন বিশেষজ্ঞরাও। বিভিন্ন গবেষণা ফলাফলে দেখা যায়, শরীরের সুস্থতার জন্যও কান্না খুবই উপকারী। এবং ৮৮.৮ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি মন ভালো করে দেয়।

কান্নার সময় চোখের ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে তিন ধরনের অশ্রু নি:সৃত হয়।
১. বাসাল অশ্রু: এটি চোখের ‍উপরিভাগকে সিক্ত রাখে এবং যেকোনো প্রকার ইনফেকশন থেকে চোখকে রক্ষা করে।
২. রিফ্লেক্স অশ্রু: ক্ষতিকারক ধোঁয়া থেকে চোখকে এই অশ্রু রক্ষা করে থাকে।
৩. আবেগী অশ্রু: আবেগী অশ্রুর ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। এটি একটি প্রাকৃতিক পেইনকিলার। মস্তিষ্ক কোনো দু:খের কিছু টের পেলে আমাদের চোখে পানি চলে আসে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে এই তিন ধরনের অশ্রুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এবার জেনে নিন কান্নার ছয়টি উপকারিতা।

১. কাঁদলে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়
অশ্রু শুধু আমাদের চোখের মণিকে সিক্তই করেনা। এটি অনেক কোষের পানিশূন্যতা দূর করে। চোখের উপরের পৃষ্ঠকে শুষ্ক হতে দেয়না। এটি আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।

২. অশ্রু ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে
অশ্রুতে লাইসোসোম রয়েছে যা মাত্র পাঁচ মিনিটেই চোখের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম।

৩. কাঁদলে মাথাব্যাথা দূর হয়
কান্নাকাটিতে বিষক্রিয়াগত মাথাব্যাথা দূর হয়। মাথাব্যাথার কারণ মূলত দুশ্চিন্তা ও হতাশা। কান্নায় হতাশা অনেকটাই কমে যায় বলে মাথাব্যাথা দূর হয়ে যায়।

৪. কান্না মন ভালো রাখে
আবেগের অশ্রু আপনার মন ভালো রাখে। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে করে আমাদের দেহে এনডোরফিন নামক কেমিক্যাল নি:সৃত হয় এবং দুশ্চিন্তা কম হয়। তাই কাঁদলে আমাদের মন ভালো থাকে।

৫. কান্না হতাশা দূর করে
মন খুলে কাঁদলে হয়তো আপনার অবস্থার কোনো অবস্থা পরিবর্তন হবে না। কিন্তু আপনার হতাশা দূর হয়। একটি সাময়িক প্রশান্তির জন্য কান্না হতে পারে ভালো ঔষধ। মানুষ রেগে গেলে অনেক সময় ভুল কিছু করে বসে। রাগ কমানোর উত্তম রাস্তাই হচ্ছে কান্না। এটি আপনার সকল হতাশা দূর করবে।

৬. কান্না দু:খ সহ্য করতে শেখায়
অনেক সময় আমরা আপন কাউকে হারিয়ে দু:খে ভেঙে পড়ি। এসময় নিজেকে সামাল দেয়ার জন্য কাঁদা ‍উচিত। কান্না আমাদেরকে এমন অবস্থাকে সামাল দিতে সাহায্য করে।

তাই পরবর্তীতে কেউ যদি বলে ‘কান্না করো না, ধৈর্য ধারণ করো’ সেটা সম্পূর্ণ না শোনাই উচিত হবে। কারণ মনের ভাব প্রকাশে এবং মনকে হালকা করার ক্ষেত্রে কান্না খুবই শক্তিশালী মাধ্যম।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates