Social Icons

Friday, December 16, 2016

কৃত্রিম সাত দ্বীপেই অস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন


দক্ষিণ চীন সাগরে নির্মিত কৃত্রিম সাতটি দ্বীপেই অস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন। স্যাটেলাইট থেকে ধারণকৃত ছবিতে দেখা গেছে, এরই মধ্যে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ দ্বীপগুলোতে নানা ধরনের অস্ত্র মজুদ বাড়াচ্ছে। বুধবার মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এশিয়া মেরিটাইম ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ (এএমটিআই) ওই ছবি প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিকীকরণের খবরে উদ্বেগ জানিয়েছে সাগরের আরেক মালিকানা দাবিদার ফিলিপাইন। যুক্তরাষ্ট্রও বেইজিংকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে চীন বলেছে, ভূখ ের অখ তা রক্ষার বিষয়ে তারা কখনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষি করবে না। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আলজাজিরার। 
এএমটিআই জানায়, দক্ষিণ চীন সাগরের কৌশলগত বাণিজ্য রুট সামরিকীকরণের কোনো ইচ্ছা বেইজিংয়ের নেই_ চীনের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা সত্ত্বেও বিতর্কিত অংশে অস্ত্র মোতায়েনের ওই চিত্র বেরিয়ে এসেছে। চলতি বছরের জুন ও জুলাইয়ের দিকে দ্বীপগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের কাজ শুরু হয় বলেও জানিয়েছে এএমটিআই। গাভেন, হুগেজ, জনসন ও কাট্রেরন প্রবাল প্রাচীরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে চীন নিজেদের নিরাপত্তা মজবুত করার কাজ করছে বলেও এএমটিআই জানায়।
এ খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিলিপাইন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি প্রতিবেদনটি সঠিক হয়ে থাকে, তবে এটি উদ্বেগের কারণ। এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ফিলিপাইন। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে চীনকে সতর্ক করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন নৌপ্রধান হ্যারি হ্যারিস বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। ওই অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ডকে আগ্রাসন বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
সার্বভৌমত্ব 'দরকষাকষির বস্তু' নয় :ট্রাম্পকে চীনের রাষ্ট্রদূত
'এক চীন' নীতির সমর্থন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার ইঙ্গিতের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পকে সতর্ক করে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেছেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব অথবা ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষার বিষয়ে তারা কখনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষি করবে না। এটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি মার্কিন কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক আলোচনায় চীনের রাষ্ট্রদূত বুধবার এ কথা বলেন। চুই তিয়ানকাই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের মার্কিন-চীন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তিকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। 
আর আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সাধারণ নীতি এড়িয়ে না গিয়ে তা মেনে চলতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং ভূখণ্ডের অখণ্ডতা দরকষাকষির বস্তু নয়। একদমই তা নয়। আশা করি, সবাই তা অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন। 
তাইওয়ানকে এখনও নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে চীন। ১৯৭৯ সাল থেকে তাইওয়ানের ব্যাপারে চীনের এ অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ৪৪ বছরের সেই রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিতর্কের ঝড় তোলেন ট্রাম্প। এ নিয়ে চীনের উদ্বেগের পর ট্রাম্প 'এক চীন' নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন। জবাবে চীন স্পষ্ট জানায়, ওই এক চীন নীতিই চীন-মার্কিন সম্পর্কের ভিত্তি।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates