মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সশস্ত্র উগ্রবাদীদের সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসে ১১ জন নিহত হয়েছে। এ সব ঘটনা অং সান সুচি’র শান্তি প্রচেষ্টাকে অনেকটাই ম্লান করে দিচ্ছে।
নভেম্বর মাসের শেষ দিকে থেকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের কয়েক হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এদের অনেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চীনে পালিয়ে গেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
এ পরিস্থিতিতে বেইজিং সীমান্ত এলাকায় দেশটির সৈন্যরা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশটির আভ্যন্তরীণ এই সমস্যা ও সহিংসতার ঢেউ আরো একবার চীনের ভূখন্ডে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমার জানায়, ২ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ৯ পুলিশের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় ২ বেসামরিক লোকও নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, উভয়পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সেনা, পুলিশ ও বেসামরিক লোকসহ এ পর্যন্ত মোট ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
শানে তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এরা হলো- আরাকান আর্মি, তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক আর্মি।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখন দেশটির রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর কঠোর দমন পীড়ন চালাচ্ছে। এতে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছে ২০ হাজারের বেশি অসহায় রোহিঙ্গা।
No comments:
Post a Comment