পৃথিবীর দিকে একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে। আর এটি আঘাত হানলে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এটি কিছুতেই রোধ করা যাবে না। নাসার এক বিজ্ঞানী সম্প্রতি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক ডা. জোসেফ নাথ বলেছেন, ‘একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। যদি পৃথিবীর সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয় তাহলে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, বিলুপ্তির পর্যায়ের গ্রহাণু যে কোনো মুহূর্তে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীর শেষ প্রভাবশালী প্রজাতি ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই গ্রহাণুরই আঘাতে।
গত সোমবার পরমাণুবিজ্ঞানীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে জোসেফ নাথ তাঁর তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, ‘মানুষ এই বিস্ময়কর গ্রহাণু বা ধূমকেতুর জন্য একেবারেই প্রস্তুত নয়।’
অনুষ্ঠানে কীভাবে এই গ্রহাণু মহাজাগতিক বিপদ হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তা উপস্থাপন করা হয়। নাসার ওই বিজ্ঞানী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এই মুহূর্তে আমরা এ ব্যাপারে কোনোকিছুই করতে পারব না।’
আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বার্ষিক সভায় বক্তব্যে জোসেফ আরো উল্লেখ করেন, বড় এবং বিপজ্জনক গ্রহাণু এবং ধূমকেতু মাঝে মাঝে পৃথিবীর আকাশে বিস্ফোরিত হচ্ছে এবং তা ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ছে। অন্যদিকে কিছু বিলুপ্তির পর্যায়ে রয়েছে, অনেকটা ডাইনোসর প্রজাতি নিধনকারীদের গ্রহাণুর মতো। এই প্রজাতি পাঁচ কোটি থেকে ছয় কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ধূমকেতু পৃথিবী থেকে দূরবর্তী পথে। কিন্তু মাঝে মাঝে আশপাশে ছিটকে যায়।
No comments:
Post a Comment