লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় সোমবার সরকারপন্থী ও বিরোধী দলের সংঘর্ষে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পক্ষে বের হওয়া এক মিছিলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষে সোমবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মেরিদা রাজ্যের স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা নিহত হন। পাশের শহর বারিনাসে অপর এক সরকারি কর্মকর্তার বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে। এছাড়া সংঘর্ষে বিরোধী দলীয় এক সমর্থকও নিহত হন। বিরোধী দল জাস্টিস পার্টির দাবি, সরকারবিরোধী মিছিলে সরকারপন্থী সশস্ত্র সমর্থকদের হামলায় ওই ব্যক্তি নিহত হন। এর আগে গত শুক্রবার রাজধানী কারাকাসে বিক্ষোভ চলাকালীন একটি বেকারি লুটের সময় নিহত হন ১১ জন। সব মিলিয়ে চলমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ রয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলের অন্যতম নেতা ও মেরিদা প্রদেশের গভর্নর হেনরিকে ক্যাপরিলেস এসব হতাহতের পেছনে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে দায়ী করেছেন। বিরোধী নেতারা অভিযোগ করছেন, সরকার ‘সশস্ত্র লুটেরাদের’ পাঠাচ্ছে তাদের সম্পদ লুট করার জন্য। বিরোধী নেতা কার্লোস ইয়েনেজ এ অবস্থাকে ‘যুদ্ধের মতো’ বলে উল্লেখ করেছেন। বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে মলোটোভ ককটেল বা পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করছেন।
মাদুরোর পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে গত তিন সপ্তাহ ধরে ভেনেজুয়োলায় এই বিক্ষোভ চলছে। ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এটি। এদিকে মাদুরো পদত্যাগের বদলে বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন । বিবিসি ও আল-জাজিরা।
No comments:
Post a Comment