টানা বিক্ষোভের মুখে ভেনেজুয়েলায় বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আহবান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিরোধীদের ডাকা দেশব্যাপী মৌনমিছিল ব্যাপক সাড়া ফেলার পর তিনি এ ঘোষণা দেন। এদিকে গত রবিবার ভেনিজুয়েলায় সংঘর্র্র্ষে আহত সরকার সমর্থক এক নারীকর্মী মারা গেছেন।
গত শনিবার রাজধানী কারাকাসে সরকারবিরোধী মৌন মিছিলে ব্যাপক লোকসমাগম হয়। এছাড়া দেশটির সবগুলো শহরেই বড় মিছিল হয়। এরপর রবিবার এক টিভি অনুষ্ঠানে মাদুরো বিরোধীদের প্রতি আলোচনার আহবান জানান। এর পাশাপাশি তিনি দেশটিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, দেশটিতে মেয়র ও রাজ্য গভর্নর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিরোধীদের দাবি মেনে পদত্যাগ কিংবা আগাম নির্বাচনের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মাদুরো বলেন, ‘আমিও এখনই নির্বাচন চাই। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান হিসেবে আমি স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, গতবছরও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন মাদুরো। কিন্তু সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। বিরোধীরা সরকারের প্রতি সংলাপের আড়ালে সময় ক্ষেপণের অভিযোগ এনে সংলাপ বর্জন করে। সেই সময় মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে গত রবিবার ভেনিজুয়েলায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত সরকার সমর্থক এক নারী রাজনৈতিক কর্মী মারা গেছেন। তিনি ১৯ এপ্রিল সরকার সমর্থকদের সমাবেশে অংশ নিয়ে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ভেনেজুয়েলায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মাদুরো বিরোধীদের দাবি, হতাহতের সংখ্যা ২০ জন ছাড়িয়ে গেছে। মানবাধিকার বলেছে, গত কয়েকদিনের বিক্ষোভে দেশব্যাপী আটক হয়েছেন এক হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৭শ’ জন এখনো আটক আছেন।
ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগ চাইছে। অপরদিকে মাদুরোর অভিযোগ, সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন আছে। এর জের ধরে মাদুরো দেশটিতে মার্কিন অটোমোবাইল জায়ান্ট জেনারেল মটরসের (জিএম) কারখানাসহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment