জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্যরা একটি আইনের আংশিক অনুমোদন দিয়েছেন, যারে ফলে দেশটিতে পুরোপুরি মুখ ঢেকে বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে।
আংশিক অনুমোদিত বিলটি এবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাশ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারী কর্মকর্তা, বিচারকসহ সেনাবাহিনীতে কাজ করা ব্যক্তিদের বোরকা পরিধানে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
তবে দেশটির ডানপন্থী দলগুলো এতেই ক্ষান্ত হচ্ছেনা, তারা পুরো দেশজুড়ে প্রকাশ্য স্থানে বোরকা পড়ে ঘোরার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আর এতে নতুন সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া মুসলিম অভিবাসীরা। গত ১৮ মাসে দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ মধ্যপ্রাচ্যীয় মুসলিম অভিবাসী ঠাঁই নিয়েছে।
জার্মানি বলছে, সম্প্রতি বার্লিনের ক্রিসমাস বাজারে একটি ট্রাক আক্রমণে ১২ জন নিহতের ঘটনায় এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তারা। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টমাস দে মেইজিয়ার বলেছেন, বোরকা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি দেখিয়েছে যে জার্মানিতে অন্য সংস্কৃতির প্রতি কত সহনশীলতা আসবে।
তবে ডানপন্থীরা চাইছে জার্মানিও প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্সকে অনুসরণ করুক, যেখানে ২০১১ সাল থেকেই প্রকাশ্যে বোরকা পরিধান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া, গত ডিসেম্বরেই জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল ‘এই পোশাকটি জার্মানির জন্য উপযুক্ত নয়’ উল্লেখ করে এটিকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment