উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হওয়া মার্কিন নাগরিকের পরিচয় জানা গেছে। পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (পিইউএসটি) কিম সাং-দুক নামে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে। তিনি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছিলেন।
পিইউএসটি এক বিবৃতিতে জানায়, গ্রেফতারকৃত মার্কিন নাগরিকের নাম কিম সাং-দুক। তিনি টনি কিম নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। তার বয়স ৫০ এর কাছাকাছি। কোরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক কিম চীনের ইয়ানবিয়ান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক। পিইউএসটির উপাচার্য পাক চান-মো বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত কিম সাং-দুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় এসেছিলেন। তবে এর বাইরেও তিনি দাতব্য কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি একটি এতিমখানার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম জানায়, ত্রাণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য তিনি গত এক মাস ধরে উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছিলেন। পিয়ংইয়ং ছেড়ে আসার চেষ্টাকালে বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে কিমের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
কিম সাং-দুকের আগেও আরো দুজন মার্কিন নাগরিককে আটক করেছিল পিয়ংইয়ং। গত বছরের জানুয়ারিতে পিয়ংইয়ংয়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে দেশটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য আটক হন ২১ বছর বয়সী মার্কিন শিক্ষার্থী অট্টো ওয়ার্মবিয়ের। তিনি এখন ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে আটক হন দক্ষিণ কোরীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৃতিবিদ কিম ডং-চুল। ৬২ বছর বয়সী কিমের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত বছরের এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন উত্তর কোরীয় আদালত। প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের প্রতি বৈরিভাবাপন্ন এবং তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment