নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ২নং ঢাকেশ্বরী মীরপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা কিশোরী নাম মুনমুন আক্তার (১৪)। বন্ধুদের নিয়ে গণধর্ষণের পর শ্বাস রোধে হত্যার পর তার মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেয় প্রেমিক রাসেল। দরিদ্র পিতার মেয়েটি বন্দর উপজেলার কাজী নজরুল ইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অভাবের কারণে লেখাপড়ায় পড়ে ছেদ। সবজি বিক্রেতা মজনু শেখের ছোট মেয়ে ছিল মুনমুন।
গত ১৮ এপ্রিল বিকালে ২নং ঢাকেশ্বরী মীরপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা থেকে মুনমুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর কয়েক দিন পর খোঁজ পেয়ে মেয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করে মজনু শেখ ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম।
ঘটনার চার দিনের মধ্যে রাসেল ও নেসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাসেল আজ রবিবার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নেসারকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জনান, নদী থেকে অজ্ঞাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পর পরিচয় না পাওয়ায় এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে তিনি (আমিনুল ইসলাম) রাসেল ও তার এক বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে।
No comments:
Post a Comment