অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ভেনেজুয়েলা। দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক সংকটে ওয়াশিংটনভিত্তিক ওই জোটের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার ওএএসের এক ভোটাভুটিতে ভেনেজুয়েলার সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের বিষয়টি পাশ হয়। জোটের এ উদ্যোগকে ‘অনধিকার চর্চা’ বলে মনে করছে মাদুরো সরকার।
ওই ভোটের পর এক বিবৃতিতে ওএএস ছাড়ার ঘোষণা দেন ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেলসি রদ্রিগেজ। তিনি বলেন, ওএএস তার দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর অনধিকার চর্চা করছে। ব্রাজিলের দুর্বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে জোটের কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাদুরোর পতন ঘটাতে তারা ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে সরব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য ১৯৪৮ সালে যাত্রা শুরু করে অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)। দুই মহাদেশের ৩৫টি দেশ এ জোটের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এর সদর দফতর অবস্থিত।
এদিকে ভেনেজুয়েলায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার রাজধানী কারাকাসসহ দেশটির বড় বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এদিন দুইজন নিহত হয়েছেন। সরকারি হিসাব মতে, সহিংসতায় এ নিয়ে মোট ২৬ জন মারা গেছে। তবে বিরোধীরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে।
তেল সমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলায় মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতির অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর জের ধরে বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট মাদুরোর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তবে মাদুরোর অভিযোগ, সরকারবিরোধী এসব বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন অটোমোবাইল জায়ান্ট জেনারেল মটরসের (জিএম) কারখানাসহ সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন মাদুরো। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment