মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার ইউএসএস কার্ল ভিনসনকে যেকোনো মুহূর্তে ডুবিয়ে দিতে তৈরি উত্তর কোরিয়া। এমন সতর্ক বার্তা দিল পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার বিপ্লবী সেনাবাহিনীর সক্ষমতা কতটা, আমেরিকাকে এবার হাতেনাতে তার প্রমাণ দেওয়া হবে বলে এভাবেই হুমকি দেওয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া একের পর পরমাণু বিস্ফোরণ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ চালাতে থাকায় ওয়াশিংটন এবং পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। তার প্রেক্ষিতেই মার্কিন নৌ-সেনার কার্ল ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপকে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে পাঠিয়েছে আমেরিকা। জাপানের নৌসোনাও সেই মার্কিন নৌবহরের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। তার পরই রবিবার ফের হুঁশিয়ারি দিল উত্তর কোরিয়া। কার্ল ভিনসন স্ট্রাইক গ্রুপ এই মুহূর্তে ঠিক কোথায় রয়েছে, সে বিষয়ে আমেরিকা স্পষ্ট করে কিছু জানায় নি।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স শনিবার জানিয়েছেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই’ কোরীয় উপকূলের কাছে পৌঁছাচ্ছে নৌবহরটির। পেন্সের এই মন্তব্যের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটতে দিলেন না কিম জং-উন। রবিবার উত্তর কোরিয়ার শাসক দল ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপত্র রডং সিনমুনে লেখা হয়েছে, ‘‘একটা মাত্র আঘাতেই আমেরিকার পরমাণু শক্তিচালিত এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটিকে ডুবিয়ে দিতে আমাদের বিপ্লবী সেনাবাহিনী প্রস্তুত। ’’ ইউএসএস কার্ল ভিনসনে যে আঘাত হানা হবে, তাতে গোটা বিশ্ব হাতেনাতে প্রমাণ পাবে, উত্তর কোরিয়া সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ঠিক কতটা। এমন কথাও লেখা হয়েছে কোরীয় সংবাদপত্রটিতে।
কোরীয় উপদ্বীপের দিকে যে মার্কিন নৌবহরটি এগোচ্ছে, সেটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাপানি নৌ-সেনার দু’টি যুদ্ধজাহাজও। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে জাপান এবং আমেরিকা যৌথ মহড়া দেবে। মার্কিন নৌসেনা সদ্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তেমনই একটি যৌথ মহড়া শেষ করেছে। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে সঙ্গে নিয়েই যে কিম জং-উনকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার কাছাকাছি এলাকায় পরপর দুই মহড়া দিয়ে আমেরিকা সে কথাই বুঝিয়ে দিতে চাইছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। আমেরিকার এই কঠোর অবস্থান দেখেও সুর কিন্তু নামাচ্ছেন না কিম জং-উন। পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিছুতেই থামানো হবে না বলে পিয়ংইয়ং জানিয়েছে। রবিবার জানানো হল, মার্কিন নৌবহরে যে কোনও মুহূর্তে আঘাত হানতেও উত্তর কোরিয়া তৈরি।
কিম বারবার পরমাণু হামলার হুমকি দিলেও আমেরিকা অবশ্য পিছু হঠছে না। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আমেরিকার পক্ষে এবং আমেরিকার এশীয় সহযোগীদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে ওয়াশিংটন জানিয়েছে। তাই আমেরিকা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এ বার বদ্ধপরিকর। সূত্র: আনন্দবাজার।
No comments:
Post a Comment