ভেনিজুয়েলার সরকার বিরোধী বিক্ষোভে তিন সপ্তাহে ২০ জন মারা গেছে। সর্বশেষ শুক্রবার কারাকাসে সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাঙ্গা পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ক্ষমতাচ্যুতির দাবিতে রাজধানীর পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ প্রান্তে বিক্ষোভ করছে। ৩৩ বছর বয়সী নির্মাণ কর্মী কার্লোস ইয়ানেজ বলেন, ‘এটা ছিল একটি যুদ্ধের মতো।’ তিনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এল ভ্যালি এলাকার বাসিন্দা।
তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে মারছিল, সশস্ত্র বেসামরিক লোকরা ভবনগুলো লক্ষ্য করে গুলি করছিল। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে মাটিতে শুয়ে পড়ি। এটা ছিল একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।’ ওই এলাকায় ১১ জন মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
হুড়োহুড়ির মধ্যে একটি বেকারিতে লুটপাট চালানোর সময় এদের আটজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। বাকিরা গুলিতে নিহত হয়। শুক্রবার রাতে কারাকাসের পূর্বাঞ্চলে আরো বিক্ষোভ হয়। এ সময় ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। এছাড়াও পাশের ভারগাস রাজ্যের ক্যাকুতোতেও বিক্ষোভ হয়। নগরীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ছিল।
পালো ভার্দের কারাকাস অঞ্চলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে। বিক্ষোভকারীরা সেখানে ডাস্টবিন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে করে সশস্ত্র লোকেরাও জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে। বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে।
এক পর্যায়ে রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা ককটেল ছুঁড়ে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের ওই গাড়িটি থেকে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হচ্ছিল। পাশের একটি মাতৃসদন হাসপাতাল থেকে নবজাতক শিশুসহ ৫৪ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়।
পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় পেতারেতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলে এক ব্যক্তি নিহত হয় বলে স্থানীয় মেয়র জানিয়েছে। প্রসিকিউটররা জানায়, তারা এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। বিরোধী নেতারা শনি ও সোমবার নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। এএফপি।
No comments:
Post a Comment