বিয়ের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ তাদের জীবন সঙ্গী বেছে নেন এবং এর মাধ্যমে একটি পরিবার গঠিত হয়। এই পরিবারে ছায়াতলেই নীতি-নৈতিকতা ও গভীর ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে বেড়ে ওঠে ভবিষ্যত প্রজন্ম।
বিয়ে কোন রসিকতার ব্যাপার নয়। এক সময় সবাইকেই বিয়ে বিষয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। যেমন- ‘বিয়ে কবে করছো’? তবে উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা মোটেও ঠিক নয়। অনেকের ধারণা বিয়ের জন্য ২০ বছর বয়সই ঠিক। আবার কারও ভাবনা একটু পরে। অনেকেই আছেন যারা কিনা চল্লিশের কোঠায় গিয়েও গভীর চিন্তায় পরে যান, বিয়ে করবেন কি না। যদি আমাদের দেশের কথা বলি তাহলে দেখা যাবে যে, অনেকেজন আছেন যারা খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলেন আবার অনেকেই দেরি করে বিয়ে করেন।
এ নিয়ে অনেকের মনে নানান রকমের প্রশ্নের উদয় হয়, বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধের জন্য আসলে উপযুক্ত বয়স কত? যারা এরই মধ্যে চিন্তায় পড়ে গেছেন তাদের বলছি – আসলে বিয়ে করার উপযুক্ত বয়স আছে, যা আট বছর ধরে এক গবেষণা শেষে এ কথা জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি টিএনএন এবং ডিএনএ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিকোলাস এইচ উলফিঙ্গার এক গবেষণায় দেখিয়েছেন, বিবাহের জন্য আদর্শ বয়স ২৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।’
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এ সময়ের মধ্যে যারা বিয়ে করেন, দাম্পত্য জীবনে তাদের বিচ্ছেদের ঝুঁকি অনেক কম। গবেষণায় দেখা গেছে, এই বয়সের মধ্যে বিয়ে করলে, নারী ও পুরুষের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কম থাকে।
গবেষণা অনুযায়ী, ৩২ বছরের পর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বিয়ে করলে বিচ্ছেদের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। উলফিঙ্গারের মতে, ৩২ বছরের পর বা তার থেকে বেশি বয়সে যারা বিবাহ করেছেন, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা প্রতি বছর গড়ে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়।
অথচ যারা বিয়ে করতে ৩০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন, তাদের অনেকেই মনে করেন, তারা অন্যদের তুলনায় ভালো করছেন।
তিনি বলেন, যারা দেরিতে বিয়ে করেন, তাদের জীবনে সাফল্যও দেরিতে আসে। এমনকি সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়।
No comments:
Post a Comment