উত্তর কোরিয়ার গত রবিবারে উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বলে দাবি করা হয়েছে। দেশটির নেতা কিম জং উনের নির্দেশে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয় বলে সোমবার এক বিবৃতিতে পিইংইয়ং জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা জানান, এটি নজিরবিহীন দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম। এমনকি এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতেও আঘাত হানতে পারবে। তবে এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া ‘বড় ধরনের পারমাণবিক হামলা'র সক্ষমতা পরীক্ষা করেছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়া সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, দেশটি রোববার হুয়াসং-১২ নামের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য নতুন একটি মাঝারি দূরপাল্লার ব্যালাস্টিক রকেট উৎক্ষেপণ করেছে।
কেসিএনএ আরো জানায়, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষাটির তদারকি করেছেন। পরীক্ষা চালানোর পর তিনি সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, ‘তারা বিরাট এ অর্জনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।’
অস্বাভাবিক উচ্চতা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি ২ হাজার ১১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার উঁচু দিয়ে ৭৮৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে পড়ে বলে জানায় কেসিএনএ। বিশ্লেষকরা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রটি এর ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ৪ হাজার ৫শ’ কিলোমিটার বা তার বেশি পথ অতিক্রম করতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর জেফরি লুইস বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া এ যাবত যতো পরীক্ষা চালিয়েছে এটি সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।’
৩৮ নর্থ ওয়েবসাইটে মহাকাশ প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ জন স্কিলিং বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত ‘গুয়ামে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হানতে’ সক্ষম। তিনি আরো বলেন, ‘এক্ষেত্রে আরো যে জিনিষটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে এটা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি অত্যাধুনিক সংস্করণ।’ এএফপি।


No comments:
Post a Comment