‘বিয়ে’ ছোট্ট একটি শব্দ। ছোট শব্দ হলেও এর গভীরতা অনেক। এর কতটা প্রসার তা বোধ হয় মানুষ মাত্রই জানে। খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর মধ্যে বিয়ে অন্যতম। সারাজীবনের বন্ধন বিয়ে। যা ছেড়ে কখনই যাওয়া যায় না। বিয়ে মানে নতুন জীবন। বিয়ের আগে নিজের জন্য বেঁচে থাকা। কিন্তু বিয়ের পর জীবন সঙ্গীর জন্য বেঁচে থাকা।
বিয়ের প্রভাবে তো মানুষের জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হয় এবং কিছু জিনিস পুরোপুরি বদলে যায় বিয়ে এমন একটি মুহূর্ত, যে সময় প্রতিটা মেয়েই চায় তাকে তার ছোটবেলায় ভেবে আশা রাজকুমারীর মতো লাগুক ঘোড়ায় করে রাজপুত্র তাকে স্বপ্নের দেশে নিয়ে যাবে যতটুকু একজন মেয়ে তার বিয়ে নিয়ে চিন্তিত থাকে ঠিক তেমনি একজন ছেলে চায় তার বিয়েতে যাতে সবকিছুই পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
বিয়ে ও পরিবার এমন এক সামাজিক ব্যাপার, যার জন্য শুধু মানসিক প্রস্তুতি থাকলেই হয় না, প্রাকৃতিকভাবে শরীরকেও প্রস্তুত হতে হয়। মূলত বিয়ের জন্য বয়সটা গুরুত্বপূর্ণ না, শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতিটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় বিয়ের ঠিক কিছু মাস আগেই, বিয়ের আগে প্রতিটা কনের আলাদা একটা সৌন্দর্য থাকে, সৌন্দর্য বহালের জন্য কিছুটা রূপচর্চা করা প্রয়োজন। রোদ থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে দূরে রাখা যায় ঠিক ততটাই ভালো। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ও টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করা উচিত। কনের যেমন নিজের যত্ন নেয়া উচিত তেমনি বরেরও নিজের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। যদিও ছেলেরা একটু খামখেয়ালীপনায় থাকে তাই পরিবারের উচিত তার প্রতি খেয়াল রাখা।
খুটিয়ে দেখার পর পছন্দ হলেই আংটি বা অনুরূপ সৌজন্য বা শুভেচ্ছা স্মারক দেয়া হবে কনেকে। এ অনুষ্ঠানটিই পান চিনি, হিন্দু ধর্মে মঙ্গলাচরণ বলে অভিহিত হয়। মুরুব্বিরা বসে শুভ দিন ক্ষণ দেখে বিয়ের তারিখ ঠিক করেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে আনুষঙ্গিক সব কথা বার্তা ওই দিনই শেষ হয়। বলা যায়, এটাই বিয়ের সামাজিক প্রথম চুক্তি যাতে উভয় পক্ষের কর্মসূচি নিধারিত হয়।
বিয়ের পর কনে শ্বশুরবাড়িতে যওয়ার পর বরের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ভোজের আয়োজন করা হয়। বৌভাতে মূলত বরের পরিবারের লোকজন মিলিত হয় কিছু অঞ্চলে এই অনুষ্ঠানটিকে বেয়াইভাতাও বলা হয়ে থাকে। মূলত এই অনুষ্ঠান গড়ে উঠেছে কনে নিজ হাতে বরের বাড়িতে প্রথম রান্না করাকে কেন্দ্র করে। বর্তমানে এটি একটি জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নিয়েছে, যেখানে কনে পক্ষ, বরের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত হন এবং বর-কনেকে দোয়া-আশীর্বাদ করে নববিবাহিতদের, বিশেষত নববধূকে উপহার দেয়।
আমাদের দেশের পারিবারিক কাঠামোতে বিয়ের পর একজন নারীকে নতুন পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়। ফলে নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর আগে মেয়েটি একান্তে কয়েকটা দিন স্বামীর সঙ্গে কাটালে তার মানসিক প্রশান্তি আসবে। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক বোঝাপড়া মধুচন্দ্রিমা বেশ কাজের।
এ ছাড়াও নিজেদের কিছু সময় কাটানোর জন্য ঘুরে আশা যায়, অনেক সুন্দর জায়গা থেকে প্রেমের বিয়েতে আগে থেকেই চেনাজানার সুযোগ থাকে। কিন্তু পারিবারিকভাবে সম্মত বিয়ের ক্ষেত্রে এই সুযোগ মেলে না।
Sunday, May 14, 2017
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment