তবে অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা প্রভিশনাল রিলিজ অ্যাসোসিয়েশন ইন জাপান নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রধান মিৎসুরু মিয়াজাকোর দাবি, বৃহস্পতিবার থেকেই আমরন অনশনে আছেন বাংলাদেশসহ ১২টি দেশের ৪০ বিদেশী নাগরিক। তারা কোনো খাবার খাননি। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অন্য কোন অপরাধে নয়, কেবল মাত্র ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে এসব বিদেশীদের দীর্ঘদিন আটক রাখা হচ্ছে।
অনশনকারীদের দাবি, জাপান সরকার ইচ্ছে করেই অভিবাসীদের দীর্ঘদিন আটক করে রাখে। চিকিৎসাসেবাও নিম্নমানের। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও অভিবাসী কিংবা শরণার্থী হিসেবে থাকার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না তাদের।
তবে কোন দেশের কতজন নাগরিক আটক হয়েছেন, সেই তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশী কতজন রয়েছেন এবং তারা কারা তা-ও জানা যায়নি। সরকারের অভিবাসন নিয়ম জটিল বলে আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
অভিবাসন ব্যুরোর নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান কাজুয়ুকি তকুই সাংবাদিকদের বলেন, আমরা খুব কাছ থেকে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করেছি, যাতে কেউ অসুস্থ না হয়। অনশনকারীদের কেউ কেউ আবার নিজের পকেটের টাকা খরচ করে খাবার এনে খাচ্ছেন-এমনটাও দেখেছি।
অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির প্রধান মিৎসুরু মিয়াজাকো আরও বলেন, এ আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া অনেকেই এক দশক ধরে জাপানে কাজ করে আসছেন, এরপরও তাদেরকে বৈধভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। অথচ সরকার নতুন করে বিদেশ থেকে কর্মী আনছেন।
সরকারের এ অভিবাসী নীতির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। ইমিগ্রেশন ব্যুরোর হিসেব মতে, গতবছর ১০ হাজার ৯০১ জন আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ২৮ জনকে শরাণার্থী হিসেবে জাপানে থাকার অনুপতিপত্র দেয়া হয়।


No comments:
Post a Comment