ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ মিনা জেরাইসে পীতজ্বর মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, গত ডিসেম্বর থেকে পীতজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেখানে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাদেশিক রাজধানীসহ বেশিরভাগ অঞ্চলে মশাবাহিত এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে মোড় নিতে শুরু করায় শনিবার সেখানে ছয় মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
আতঙ্কে মিনা জেরাইস ছাড়াও দক্ষিণের দুই প্রদেশ রিও এবং সাও পাওলোর বাসিন্দারা ক্লিনিকের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পীতজ্বরের টিকা নিতে শুরু করেছেন।
হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় যে কোনো সময় টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
একটি কার্নিভালে যোগ দিতে এ সময় প্রতিবেশী আর্জেন্টিনা থেকে অনেক মানুষ ব্রাজিলের সাও পাওলোতে আসেন।
সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে তারাও টিকা দিতে শুরু করায় রাজধানী বুয়েন্স আইরেসসহ আর্জেন্টিনার অন্যান্য নগরগুলোতেও টিকা নিতে ক্লিনিকের সামনে ভিড় দেখা যাচ্ছে বলে জানায় বিবিসি।
গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকেও সাও পাওলো ভ্রমণের অন্তত ১০ দিন আগে পর্যটকদের পীতজ্বরের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ব্রাজিলে পীতজ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ২৫৯ জনের মৃত্যু হয়।
মিনা জেরাইসে গত বছর জুন পর্যন্ত ৪৭৫ জন পীতজ্বরে আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ১৬২ জন মারা গেছেন।
এ রোগ সনাক্ত করা বেশ কঠিন। কারণ অন্যান্য রোগের সঙ্গে এর উপসর্গ মিলে যাওয়ায় ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, শরীরে ব্যাথা, মাথাব্যাথা, অরুচি এবং বমিভাব বা বমি হয়।
সময়মত চিকিৎসা না নিলে অতিরিক্ত জ্বর, রক্তক্ষরণ এমনকি কিডনি অকেজ হয়ে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment