হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের একটি প্রকাশনায় বলা হয়, একজন সুস্থ মানুষ প্রতি ৯০ মিনিট পর পর ঘুমের গভীর থেকে গভীরতর ধাপের দিকে যায়। যার মধ্যে সবচেয়ে গভীর ঘুমের সময় মানুষের ফিজিওলজিক্যাল পরিবর্তন আনে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অনিয়মিত ঘুমের কারণে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে, ফলে মানুষ গভীর ঘুমের ধাপ পর্যন্ত যেতেই পারে না। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
অনেকে হয়তো রাতে বারে বারেই জেগে ওঠেন। অথবা মোবাইল, চ্যাট ইত্যাদির মধ্যে ডুবে থাকেন। জানেন নিয়মিত রাত জাগলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া সংসারিক এবং দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব পড়তে পারে।
কম ঘুম আপনার চরিত্রে ঠিক কী কী পরিবর্তন আনছে! কীভাবে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে সম্পর্কের গভীরতা! বেড়ে যেতে পারে দাম্পত্য কলহ। এমনকি হতে পারে বিচ্ছেদও। অন্যদিকে, রাতের পালায় যাদের কাজের সঙ্গে উচ্চরক্তচাপ, হূদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাজ্যের স্লিপ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা এক গবেষণায় দেখেছেন, রাত জেগে কাজের যে কুফল তা গভীরতর আণবিক স্তরে পরিলক্ষিত হয়। রাত জাগার ক্ষতির পরিমাণ গবেষকেদের কাছে আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে।
মানুষের শরীরের একটি প্রাকৃতিক ছন্দ বা দেহ ঘড়ি রয়েছে যার ছন্দ হচ্ছে রাতে ঘুম আর দিনে কাজ। রাতে জাগার ফলে হরমোন পরিবর্তন, দেহের তাপমাত্রায় রদবদল, মেজাজ ও মস্তিষ্কের কাজকর্মে ব্যাপক প্রভাব পড়তে দেখা যায়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ইস্ট ওয়েস্ট আই ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, রাত জাগার ফলে আই স্পাজম বা চোখে খিঁচুনি হতে পারে, যাকে মায়োকিমিয়া বলা হয়। ড্রাই আই জটিলতাও দেখা দিতে পারে। অনিয়মিত ও অপর্যাপ্ত ঘুমের সবচেয়ে বড় মানসিক সমস্যা এটি। এর ফলে বিষণ্নতা, সিজোফ্রেনিয়া ও ঘন ঘন ভুলে যাওয়ার রোগ আলজেইমার্স হতে পারে।
No comments:
Post a Comment