এনবিআরের সূত্র মতে, বাংলাদেশে প্রকৌশল, চিকিৎসা, গার্মেন্ট, মার্চেন্ডাইজিং, শিল্প-কলকারখানাসহ বিভিন্ন খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনে বিদেশি পরামর্শকসহ দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বিদেশি জনবল নিয়োগ বেড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব বিদেশি কর্মীর অধিকাংশই অবৈধ। আর বাংলাদেশে কাজ করে কোনো কর পরিশোধ ছাড়া তাদের উপার্জিত অর্থ নিজ দেশে পাঠাচ্ছেন বেআইনী পথে।
একটি বেসরকারি প্রতিবেদনে জানা গেছে, এভাবে প্রতি বছর দেশ থেকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার পাচার হচ্ছে। টাকার হিসাবে যা প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্স আয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। আশঙ্কাজনকভাবে প্রতি বছর এর পরিমাণ বেড়ে চলেছে।
দেশে কর্মরত বৈধ ও অবৈধ বিদেশি কর্মীদের সঠিক সংখ্যা সংশ্লিষ্ট সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংস্থার কাছেই নেই। তবে বিভিন্ন সূত্র বলেছে, ‘ওয়ার্ক পারমিট’ নিয়ে বৈধভাবে দেশে কর্মরত বিদেশির সংখ্যার কয়েক গুণ বেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী কাজ করছে। ফলে তারা উপার্জিত অর্থও বৈধ পথে পাঠাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, বৈধ বিদেশি কর্মীরা মাসে যে আয় করেন, তার সর্বোচ্চ ৭০ ভাগ পর্যন্ত বিনা অনুমতিতে নিজ দেশে পাঠাতে পারেন। বাকি টাকা মেয়াদ শেষে দেশ ত্যাগ করার সময় একসঙ্গে নিতে পারেন। তবে এসব ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গের উদাহরণই বেশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে অবৈধভাবে বিদেশি নাগরিকের কাজ করার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি যারা বৈধভাবে কাজ করছেন, তারা প্রচলিত আয়কর আইন অনুযায়ী কর পরিশোধ করে যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার সুযোগ পান সে ব্যবস্থাও থাকতে হবে। তাহলে আয়কর পরিশোধ করে বৈধ চ্যানেলে বিদেশি কর্মীরা টাকা পাঠাবে।
No comments:
Post a Comment