আরবদের প্রতি ইসরাইলে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচারণার অংশ হিসেবে বানানো একটি ভিডিও উধাও হয়ে গেছে ফেসবুক থেকে। ভিডিওতে বেশ কয়েকজন ইহুদী ও আরবকে দেখা গেছে পর¯পরকে চুমু দিতে। সম্প্রতি, এক ইসরাইলি নারী ও ফিলিস্তিনি পুরুষের প্রেমে পড়ার কাহিনী নিয়ে লেখা একটি উপন্যাস ইসরাইলের বিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তেল আবিব ভিত্তিক টাইম আউট ম্যাগাজিন ‘জিউস অ্যান্ড আরবস কিস’ শিরোনামের ভিডিওটি বানায়। কিন্ত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়া ভিডিওটি ফেসবুকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
ডরিট রাবিনয়ানের লেখা বর্ডারলাইফ বইটি ইসরাইলি শিক্ষাক্রম থেকে বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুক্তি, শিক্ষার্থীদের পিতামাতারা একে ‘স্বতন্ত্র পরিচয়ের প্রতি হুমকি’ হিসেবে দেখবে। এ পদক্ষেপে দেশে-বিদেশে তীব্র নিন্দা আর অসন্তোষ জন্ম নেয়।
টাইম আউট তেল আবিব এক প্রতিক্রিয়ায় লিখেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করা অব্যাহত রাখবো যে, মানুষ আগে মানুষ। তারপর আসবে তার ধর্ম ও জাতীয়তা। এ ধর্ম ও জাতীয়তা ব্যক্তিবিশেষের নিজের অথবা তার পূর্বপুরুষের বেছে নেওয়া’। ম্যাগাজিনটির ভাষায়, ‘ভালোবাসাকে মাঝে মাঝে লোকদেখানো মনে করা হয়। কিন্ত এটি ভুল। ভালোবাসা ব্যতিত কোন অনুভূতিই এতটা দুরূহ ও জটিল নয়।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চিরবৈরী আরব ও ইহুদীদের মধ্যে সম্প্রীতির প্রকাশ ঘটাতে ছয় জুটিকে একসাথ করে ম্যাগাজিনটি। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও বিষমকামী-সমকামী ছিল। কিছু জুটির একে-অপরকে কখনও জানতোও না। প্রতিটি জুটিতে ছিলেন একজন করে আরব ও ইহুদী। তাদেরকে বলা হয়, ক্যামেরার সামনে পর¯পরকে চুমু দেওয়ার জন্য। ছয়টি জুটির পর্ব শেষ হওয়ার পর, ভিডিওটি শেষ হয় ইংরেজি, হিব্রু ও আরবী ভাষায় লেখা এক বার্তায়: ‘ইহুদী ও আরবরা শত্রু হতে অস্বীকার করছে’।
বুধবার অনলাইনে প্রকাশের পর খুব দ্রুতই লক্ষাধিকবার ভিডিওটি দেখা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্ত একদিন পর, অর্থাৎ বৃহ¯পতিবার ফেসবুক থেকে উধাও হয়ে যায় ভিডিওটি। টাইম আউট কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছে। সাধারণত, কোন পোস্টের বিষয়ে প্রচুর অভিযোগ পেলে তা সরিয়ে ফেলে ফেসবুক। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ টাইম আউটের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসরাইলের হারেৎজ পত্রিকায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ফেসবুকের এক মুখপাত্র এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। হারেৎজের সন্দেহ, কোন হ্যাকার গোষ্ঠী এ কাজ করে থাকতে পারে। কয়েক ঘন্টা পর, অবশ্য কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ভিডিওটি পুনরায় দেখা যায়। ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ ব্যাপারে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও, কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
Sunday, January 10, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment