মুম্বইতে ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু মি. সামির হাতে নাগরিকত্বের সনদ তুলে দেন ।
নাগরিকত্ব পাওয়ার পরেই আদনান সামি টুইট করে জানিয়েছেন, “এটা একটা নতুন অনুভূতি, নতুন দেশ, নতুন ভালবাসা... জয় হিন্দ।“
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মি. সামি।
অন্যদিকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনা মি. সামিকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করছে।
আদনান সামি প্রথম ভারতে আসেন ২০০১ সালে, তখন তাঁর পাকিস্তানি পাসপোর্টে এক বছরের ভিসা দিয়েছিল ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশন।
এর পর থেকে তাঁর ভিসার মেয়াদ বারে বারে বৃদ্ধি করা হতে থাকে। তবে ভারত এর আগে দুবার তাঁর নাগরিকত্বের আবেদন বাতিল করে দিয়েছিল।
২০১৫ সালের ২৬ মার্চ পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে পাকিস্তান সরকার আর সেটির পুনর্নবীকরণ করে নি।
ভারতের কাছে মি. সামি আবেদন করেছিলেন মানবিক কারণে তাঁকে সে দেশে থাকতে দেওয়া হোক। ভারতের স্বরাষ্ট্র দপ্তর অনির্দিষ্ট কালের জন্য তাঁর দেশে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়।
অবশেষে ২০১৫ শেষ দিনে জানানো হয় যে আদনান সামিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এই শতকের গোড়ার দিকে মি. সামি ভারতে জনপ্রিয় হতে শুরু করেন। কিন্তু একটা সময়ের পরে তিনি জনপ্রিয় কোনও গান আর উপহার দিতে পারছিলেন না।
কিন্তু সলমান খান অভিনীত বজরঙ্গী ভাইজান চলচ্চিত্রে ‘ভর দো ঝোলি মেরি’ গান গেয়ে আবারও জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছেন আদনান সামি।
No comments:
Post a Comment