ধূমপানে ক্ষতির নতুন আরেকটি দিক উঠে এসেছে গবেষণায়। ব্রিটিশ জার্নাল অফ ক্যান্সারে প্রকাশিত জার্নালে বলা হয়েছে অধূমপায়ী নারীদের তুলনায় ধূমপায়ী নারীদের শরীরে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা সঠিকভাবে কাজ করে না।
এমনকি ধূমপানের কারণে স্তন ক্যান্সারের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া আশঙ্কাও রয়েছে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা করা হয় ‘অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটর’ ওষুধের সাহায্যে। ওষুধটি ‘ফ্যাটি টিসু’তে ওয়েস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, যা ‘ওয়েস্ট্রোজেন-রিসিপ্টিভ ব্রেস্ট ক্যান্সার’ ফিরে আসার আশঙ্কা কমায়।
গবেষণায় দেখা যায়, যাদের রজোনিবৃত্তির পর ধূমপানের কারণে তাদের শরীরে ‘অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটর’ বিপরীত কাজ করে। ফলে স্তন ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে। সুইডেনের লান্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক হেলেনা জের্নস্টোর্ম বলেন, অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটর ব্যবহার করে স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসাপ্রাপ্ত ধূমপায়ীদের শরীরে এই রোগ ফিরে আসার সম্ভাবনা একইভাবে চিকিৎসাপ্রাপ্ত অধূমপায়ীদের তুলনায় তিনগুন বেশি।
অপরদিকে অ্যারোমাটেজ ইনহিবিটর দিয়ে চিকিৎসাপ্রাপ্ত অধূমপায়ীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গেছে। ব্রিটিশ জার্নাল অফ ক্যান্সারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জের্নস্টোর্ম বলেন, টামোফ্ল্যাক্সিন, রেডিও থেরাপি বা কেমো থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে ধূমপায়ী-অধূমপায়ী বিষয়ক কোনো প্রভাব আমরা খুঁজে পাইনি।
গবেষকরা ১ হাজার ১৬ জন স্তন ক্যান্সার রোগীর উপর একটি জরিপ করেন। প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে প্রায় এক জন নারী বলেন তারা মৃদু ধূমপায়ী বা সামাজিক ধূমপায়ী। অস্ত্রোপচারের পর রোগীরা কী চিকিৎসা নিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে ধূমপানের প্রভাব পর্যালোচনা করা হয়। আইএএনএস।
No comments:
Post a Comment