এটা ঠিক যে এক শতাংশ মানুষ অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে চিন্তা ও কাজ করেন। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় ফিনানসিয়াল সাইকোলজিস্ট ব্র্যাডলি ক্লোন্তজ জানান, সুপার ধনবান মানুষদের মানসিকতা অন্যদের থেকে ভিন্ন থাকে। তাদের উপার্জন অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু সংখ্যায় তারা মাত্র ১ শতাংশ।
১০৯৬ জন উপার্জনকারীর ওপর গবেষণা পরিচালিত হয়। এরা বছরে ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার গড়ে উপার্জন করেন। এসব মানুষের মানসিক বৈশিষ্ট্য অন্যদের থেকে পুরাই আলাদা।
এখানে জেনে নিন এমন মানুষদের অনন্য ৭ বৈশিষ্ট্যের কথা।
১. অর্থ যে অনর্থের মূল তা খুব একটা বিশ্বাস করেন না বিপুল ধনীরা। এ ধরনের মানুষরা অন্যের সম্পদ দখল করে তারা ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন না। তারা নিজের জীবন চালাতে খুব অল্প খরচ করেন।
২. তাদের মাঝে দারুণভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণ কাজ করে। জীবনের অধিকাংশ সমস্যা সামলাতে তারা খুব বেশি পেরেশানিতে থাকেন না। সফল হতে অনেক বেশি দায়িত্ব গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। লক্ষ্য অর্জনে যেকোনো সমস্যার সমাধানে তারা দারুণ সমর্থ। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার গুণ রয়েছে তাদের।
৩. অর্থ বিষয়ে সবাই যেভাবে চিন্তা করেন, তারা সে পথে হাঁটেন না। তারা নিজের আবেগকে প্রাধান্য দেন। যেটা করতে পছন্দ করেন তার মাধ্যমেই সফল হতে চান। এটাই তাদের সফল হওয়ার পেছনে অন্যতম অনুপ্রেরণা।
৪. তারা যত সম্পদেরই মালিক হন না কেন, তার মূল্যের সঙ্গে নিজের মূল্যটাও দেখার চেষ্টা করেন। মূল্যবোধ সমুন্নত রেখেই তারা অর্থ কামাই করেন। তারা শুধু অর্থই কামান না। তারা ভালো ও জনকল্যাণকর কাজে সময় দেন।
৫. অর্থনৈতিক সফলতা অনেকেরই আসতে পারে। কিন্তু তা ধরে রাখা বেশ কঠিন হয়ে যায়। সুপার সফল মানুষরা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। তারা কখনো অর্থনৈতিক সফলতা নষ্ট হতে দেন না। ফলে সম্পদের পাহাড় বাড়তেই থাকে অনায়াসে।
৬. বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারা আত্মবিশ্বাসী থাকেন। যে খাতে বিনিয়োগ করেন, তা নিয়ে এতো দুশ্চিন্তা করেন না। বরং আত্মবিশ্বাসী থাকেন। যে সমস্যাই আসুক না কেন, তারা তা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তুতি রাখেন।
৭. তারা অর্থ বিষয়ে দারুণ সজাগ থাকেন। তারা বিশ্বাস করেন অর্থ সঞ্চয় করতে হয়। আর খরচ বেহিসাবী হলেও চলবে না। অর্থের বিষয়ে তারা যথেষ্ট বিনয়ী বটে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
No comments:
Post a Comment