ইরাকের মসুল শহরকে ইসলামিক স্টেটের দখল-মুক্ত করার লড়াইয়ে সরকারি বাহিনী এই প্রথম শহরটির পূর্ব দিকের শহরতলী এলাকায় ঢুকেছে। তবে ইরাকি সেনাদের সঙ্গে থাকা একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, আইএসের সাথে সেনাদের তীব্র লড়াই হচ্ছে। এবং তীব্র প্রতিরোধের মোকাবেলা করে এগুতে হচ্ছে সরকারি বাহিনীকে।
আইএস যোদ্ধারা রকেটচালিত গ্রেনেড, মর্টার, ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ও আত্মঘাতী গাড়ি বোমা ব্যবহার করছে। মসুলে ৩ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত আইএস যোদ্ধা রয়েছে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন এরই মধ্যে চার-পাঁচটি বিমান হামলা চালিয়ে ইরাকি বাহিনীর অগ্রাভিযানে সহায়তা দিচ্ছে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি আইএসের প্রতি ‘হয় আত্মসমর্পণ বা মৃত্যুবরণ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। সামরিক পোশাক পরে একটি বিমানঘাঁটি সফর করার সময় আল-আবাদি বলেন, সরকারি বাহিনী চার দিক থেকে মসুলের দিকে এগুচ্ছে, এবং তারা তার ভাষায় ‘সাপের মাথা কাটবে’।
মসুল থেকে এখন আর লোকজনকে পালিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না। সংবাদদাতারা ধারণা করছেন শহরটিতে এখনো প্রায় ১০ লাখ লোক রয়েছে। এর আগে সোমবার ইরাকি সেনারা মসুল শহরের এক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যায়। এখানে বাজওয়াইয়া নামের একটি গ্রাম ইরাকি সেনারা পুনর্দখল করার পর স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। তারা জানায় তাদের ঘরে জমা খাবার-দাবার ও পানি প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।
অনেকে তাদের দাড়ি কামিয়ে ফেলে, এবং দু’বছর পর ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে। একজন ইরাকি কমান্ডার বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কোনো আইএস যোদ্ধা লুকিয়ে আছে কিনা এবং তারা কোথাও বোমা পেতে রেখেছে কিনা তা দেখতে তারা মুক্ত এলাকাগুলোয় ঘরে ঘরে তল্লাশি করছেন।
এই যুদ্ধে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য অংশ নিচ্ছেন, যার মধ্যে সেনাবাহিনী, কুর্দি পেশমার্গা এবং বিভিন্ন সুন্নি গোষ্ঠীর মিলিশিয়া রয়েছে। এএফপি।
No comments:
Post a Comment