অনেকের বিবাহিত জীবন ‘মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা’ গানটির মতই। কিন্তু এ রকম বিষময় বিবাহিত জীবন আপনার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আর এর মধ্যে যদি যোগ হয় জীবনসঙ্গীকে ভয় পাওয়ার বিষয়টি, তাহলে জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
নারী বা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দাম্পত্য জীবন অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। যখন স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাসী এবং শ্রদ্ধাশীল নয়, তখন স্ত্রী এই ভয়ের শিকার হয়। আবার স্ত্রী যখন তার স্বামীর প্রতি বিশ্বাসী বা শ্রদ্ধাশীল নয়, তখন স্বামীও একই ভয়ের শিকার হয়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষেরাই বেশি এ রকম ভয়ের শিকার হয়। কিন্তু তারা এই বিষয়গুলো তাদের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে না, কারণ তারা ভাবে যে তার বন্ধুরা এই বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে মজা করবে। এমনকি অনেক পুরুষ এ কারণে নীরবে কাঁদেন। চলুন, স্বাস্থ্য সাময়িকী বোল্ড স্কাইয়ের সৌজন্যে জেনে আসি এ ব্যাপারে আরো কিছু তথ্য।
কী বিষয়ে ভয় পাচ্ছেন আপনি?
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিবাহিত জীবনে সুখী নয়, তারা গোপনে স্বীকার করে নিয়েছেন যে তারা কাজ শেষে বাসায় ফিরতে ভয় পান। কারণ, বাসায় তারা তর্ক, রাগারাগি, অভিনয়, ব্ল্যাকমেইল করার কৌশলকে ভয় পান।
আত্মমুগ্ধতাসূচক ব্যক্তিত্ব
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী প্রচণ্ড ভয় পান, যখন তার স্ত্রীর মধ্যে আত্মমুগ্ধতাসূচক ব্যক্তিত্ব দেখতে পান। এটি এক ধরনের ব্যাধিও বটে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের প্রতি অতি মুগ্ধ থাকে। এ ঘটনা পুরুষের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী হিসেবে স্ত্রী যন্ত্রণা সহ্য করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী প্রচণ্ড ভয় পান, যখন তার স্ত্রীর মধ্যে আত্মমুগ্ধতাসূচক ব্যক্তিত্ব দেখতে পান। এটি এক ধরনের ব্যাধিও বটে। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজের প্রতি অতি মুগ্ধ থাকে। এ ঘটনা পুরুষের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী হিসেবে স্ত্রী যন্ত্রণা সহ্য করে।
কষ্ট মনে চেপে রাখা
পুরুষের ক্ষেত্রে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুরুষ তার মনের কথা বা কষ্ট মনের মধ্যে চেপে রাখে। কারণ, সবাই আশা করে একজন পুরুষকে সব সময় শক্ত থাকতে হবে, তারা কখনো কাঁদতে পারবে না বা দুর্বল বোধ করতে পারবে না। এ ধারণা থেকেই তারা তাদের কষ্টের কথা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে না। ফলে কথাগুলো বের হওয়ার কোনো রাস্তা খুঁজে পায় না।
পুরুষের ক্ষেত্রে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুরুষ তার মনের কথা বা কষ্ট মনের মধ্যে চেপে রাখে। কারণ, সবাই আশা করে একজন পুরুষকে সব সময় শক্ত থাকতে হবে, তারা কখনো কাঁদতে পারবে না বা দুর্বল বোধ করতে পারবে না। এ ধারণা থেকেই তারা তাদের কষ্টের কথা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে না। ফলে কথাগুলো বের হওয়ার কোনো রাস্তা খুঁজে পায় না।
ক্রোধ
যখন স্ত্রী (বা স্বামী) ক্রোধান্বিত থাকে, তখন তার সঙ্গীটির দেহে করিসটল এবং অ্যাডরিনালাইন নামক দুটি রস নিঃসৃত হয়, এতে সঙ্গীটি প্রবল চাপ এবং উদ্বেগ অনুভব করে। ক্রোধে আক্রান্ত সঙ্গীকে মোকাবিলার জন্য অপর সঙ্গীর শরীরে বেশ কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এই রাসায়নিক পরিবর্তন শরীর ও মনকে প্রস্তুত করে, যেন ক্ষুব্ধ সঙ্গীকে শান্ত করা যায় বা নিজেকে উদ্ধার করা যায়।
যখন স্ত্রী (বা স্বামী) ক্রোধান্বিত থাকে, তখন তার সঙ্গীটির দেহে করিসটল এবং অ্যাডরিনালাইন নামক দুটি রস নিঃসৃত হয়, এতে সঙ্গীটি প্রবল চাপ এবং উদ্বেগ অনুভব করে। ক্রোধে আক্রান্ত সঙ্গীকে মোকাবিলার জন্য অপর সঙ্গীর শরীরে বেশ কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এই রাসায়নিক পরিবর্তন শরীর ও মনকে প্রস্তুত করে, যেন ক্ষুব্ধ সঙ্গীকে শান্ত করা যায় বা নিজেকে উদ্ধার করা যায়।
আটকে যাওয়া
যদি আপনি এমন একটি সম্পর্কে আটকে থাকেন, যেখানে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার লেশমাত্র নেই, সে ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আপনার দেহের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এ ধরনের সম্পর্ক আপনার দেহের ওপর চাপ, দুশ্চিন্তা ও হতাশা সৃষ্টি করে।
যদি আপনি এমন একটি সম্পর্কে আটকে থাকেন, যেখানে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার লেশমাত্র নেই, সে ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আপনার দেহের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এ ধরনের সম্পর্ক আপনার দেহের ওপর চাপ, দুশ্চিন্তা ও হতাশা সৃষ্টি করে।
কারণটা খুঁজে বের করুন
যদি আপনি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর ভয়ে ভীত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। তবে ক্রোধ, আক্রমণ, সংঘর্ষ, ক্ষতি, ব্ল্যাকমেইল ঠিক কোনো কারণে আপনি আপনার সঙ্গীকে ভয় পাচ্ছেন, সে কারণটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
যদি আপনি আপনার স্বামী বা স্ত্রীর ভয়ে ভীত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। তবে ক্রোধ, আক্রমণ, সংঘর্ষ, ক্ষতি, ব্ল্যাকমেইল ঠিক কোনো কারণে আপনি আপনার সঙ্গীকে ভয় পাচ্ছেন, সে কারণটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
সাহায্য নিন
যখন আপনি কারণটা উদঘাটন করে ফেলবেন, তখন আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। যদি আপনার সঙ্গী উগ্রভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে ক্ষেত্রে আপনার অন্য কারো থেকে সাহায্য নেয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে আপনার পরিবার। তাদের জানিয়ে আপনি একজন কাউন্সেলিং বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন। যদি আপনি আপনার দেহ এবং মন থেকে এই ভয় দূর করতে না পারেন, তাহলে আপনার মধুময় জীবন বিষময় হতে খুব বেশি দেরি লাগবে না।
যখন আপনি কারণটা উদঘাটন করে ফেলবেন, তখন আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। যদি আপনার সঙ্গী উগ্রভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে ক্ষেত্রে আপনার অন্য কারো থেকে সাহায্য নেয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে আপনার পরিবার। তাদের জানিয়ে আপনি একজন কাউন্সেলিং বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন। যদি আপনি আপনার দেহ এবং মন থেকে এই ভয় দূর করতে না পারেন, তাহলে আপনার মধুময় জীবন বিষময় হতে খুব বেশি দেরি লাগবে না।
No comments:
Post a Comment