পরিকল্পনা অনুযায়ী মালয়েশিয়া ২০২০ সালের মধ্যে বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীলতা ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভায় বিল পাস হয়। যা ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কাযকর হবে। জানা গেছে, এই নীতি কার্যকরের আগে যারা শ্রমিকদের জন্য কর দিয়েছেন তাদেরও নতুন করে কর দিতে হবে। তাছাড়া এই আইন ও নিয়মের বিরুদ্ধে যেসব মালিক অসন্তোষ প্রকাশ করবেন, বিরোধিতা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে নিয়োগকর্তাদের থেকে এ বিষয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। বিদেশি শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ দিতে হলে মালিকপক্ষকে এই কর অবশ্যই দিতে হবে।
পেনিনসুলা মালয়েশিয়ায় ম্যানুফেকচারিং, নির্মাণশিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য এই কর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮শ ৫০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার)। প্লান্টেশন ও কৃষিখাতে বিদেশি শ্রমিকদের জন্যে কর ৬শ ৪০ রিঙ্গিত (১২ হাজার ৮শ টাকা) এবং গৃহশ্রমিকদের জন্য ৪শ ১০ রিঙ্গিত থেকে ৫শ ৯০ রিঙ্গিত। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১১ হাজার ৮০০ টাকা।
ম্যানুফেকচারিং ও নির্মাণ শিল্পে এই কর ১ হাজার ১০ রিঙ্গিত বা ২০ হাজার ২শ টাকা। প্লান্টেশনে ৫শ ৯০ রিঙ্গিত বা ১১ হাজার ৮শ টাকা, কৃষিতে ৪শ ১০ রিঙ্গিত বা ৮ হাজার ২শ টাকা এবং গৃহশ্রমিকদের জন্য এ কর ৪শ ১০ রিঙ্গিত থেকে ৫শ ৯০ রিঙ্গিত। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজার ২শ টাকা থেকে ১১ হাজার ৮শ টাকা।
এদিকে, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই নিয়োগদাতাদের উপর সরকারের আরোপিত এই করের বোঝা কর্মীদের মনে ভীতির সৃষ্টি করেছে। কর্মীরা বলছে, প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য মালয়েশীয় সরকারকে দেওয়া বাধ্যতামূলক কর মালিকপক্ষ যেকোনভাবে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে। এর প্রভাব এসে পরবে কর্মীদের উপর।
No comments:
Post a Comment