ব্রি টুইট করেছেন, ‘পর্নোস্টার হওয়ার অর্থ সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া। মানুষ হিসেবে তোমারও আর দশজনের মতো অধিকার আছে। কিন্ত সমাজ তোমার ওই অধিকারের কেড়ে নিতে উঠেপড়ে লাগবে।’
তবে পর্নো পেশাকে ‘খারাপ’ মানতে রাজি নন তিনি। শুধুমাত্র বাস্তবতার কথা চিন্তা করেই, অর্থ-বিত্ত আর যশ-খ্যাতির এ দুনিয়ায় না আসার আহ্বান তার। অলসনের ভাষ্য, ‘পর্নো খারাপ, তা আমি বলবো না। তবে বাকি মানুষরা তোমার সঙ্গে কীভাবে আচরণ করছে, সেটা জীবনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’
মেয়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মনে করো, মেয়েদের কোন আড্ডায় যোগ দেবে বলে মনঃস্থির করেছো। কিন্ত শুধুমাত্র নিজের পেশার কারণে সেখানে তোমার স্থান হবে না।’
তার মতে, এ পেশার কারণে খোদ পর্নো-অভিনেত্রী নিজে যতটা ভোগেন, তার চেয়ে বেশি ভোগে তার সন্তানরা। তিনি বলেন, ‘তোমরা কি চাও, তোমাদের সন্তানদের শৈশব-জীবন পুরো মাটি হয়ে যাক? তারা যখন স্কুলে যাবে, সারাদিন তাদের খোঁচানো হবে মায়ের পেশা নিয়ে। এমনকি তোমাকে অচ্ছুৎ ভেবে তোমার সঙ্গে কোন বাচ্চাকে থাকতে দেওয়া হবে না। তুমি যেহেতু পেশায় পর্নোস্টার, বিষয়টা এমন যে, তুমি ঘরেও যেন যৌনতার পসরা সাজিয়ে বসে আছো।’
অলসনের মতে, নারী পর্নোস্টাররা এ সমস্যায় পড়েন বেশি। অথচ, পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন সমস্যা হয় না বললেই চলে।
একসময়কার জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা চার্লি শিনের অন্যতম প্রেমিকা ছিলেন তিনি। সম্প্রতি চার্লি শিনের এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি প্রচার হয়ে যাওয়ার পর, অলসন জানান, তিনিও এ ভাইরাসে সংক্রমিত। তিনি জানান, শিনকে ভালোবাসার কারণেই পর্নো শিল্প থেকে সরে আসেন তিনি। তিনি তাকে বিশ্বাস করতেন, এ জন্য কখনও এইচআইভি পরীক্ষা করেননি। এ কারণেও অনেকদিন আলোচনায় ছিলেন সাবেক এ পর্নো তারকা।
No comments:
Post a Comment