এদিকে মঙ্গলবার এই তাণ্ডবে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ও ভাংচুর হয়েছে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ভাংচুরের পাশাপাশি সুর সম্রাটের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রও পুড়িয়ে দেয় মাদ্রাসার ছাত্ররা। ভাংচুরের মধ্যে পড়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের ব্যাংক এশিয়া, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রও।
সকালে কয়েকশ’ মাদ্রাসাছাত্র শহরের টিএ রোড, কুমারশীলের মোড়, লোকনাথ ট্যাঙ্কের পাড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পর সাড়ে ১২টার দিকে ভাংচুর শুরু করে।
মাদ্রাসাছাত্রদের তাণ্ডবের মধ্যে জেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে বিজিবিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি।'
১২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নজরুল ইসলাম বলেন, 'শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'
বিজিবি মোতায়েনের পর দুপুর পর্যন্ত শান্ত থাকলেও বেলা ৪টায় একদল মাদ্রাসা ছাত্র লাঠি নিয়ে সদর হাসপাতালে ভাংচুর চালায়।
No comments:
Post a Comment